চলতি বছরের সবচেয়ে বেশি আয় করা হিন্দি ছবির তালিকায় অন্যতম দু'টি নাম ভিকি কৌশলের 'ছাবা' এবং রণবীর সিং অভিনীত 'ধুরন্ধর'। এই দুই ছবির মধ্যে কিন্তু একটি ব্যাপারে চোখে পড়ার মতো মিল রয়েছে। দু’টি ছবিই দেশপ্রেমের আবেগে ভরপুর, দু’টিতেই নয়া প্রজন্মের তারকারা মুখ্যভূমিকায় এবং দু’টি ছবিতেই ভারতের নায়কদের আত্মত্যাগকে বড় করে দেখাতে ছবিজুড়ে হিংস্রতা, রক্তপাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। ‘ধুরন্ধর’ এবং ‘ছাবা’ এই দুই ছবিই বিশ্বজুড়ে ৮০০ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি দেশপ্রেমই এখন বক্স অফিসের নিশ্চিত সাফল্যের ‘ফর্মুলা’?
তবে এই ভাবনায় সায় দিচ্ছেন না ‘ছাবা’-র নায়ক ভিকি কৌশল। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “দেশপ্রেম কখনও ফর্মুলা হতে পারে না। এটাকে ফর্মুলা বলা আসলে এই অনুভূতিকে অপমান করা। দেশপ্রেম আমাদের অন্তরের এক সত্যি যা আমরা সিনেমা, সাহিত্য, এমনকী খেলাধুলোর মাধ্যমেও প্রকাশ করে যাব।”
ভিকির মতে, দেশপ্রেম নিয়ে ছবি বানানো আসলে নির্মাতাদের দেশের প্রতি গর্ব প্রকাশেরই এক উপায়। তিনি বলেন, “এভাবেই আমরা বলতে পারি যে আমাদের দেশের বৈচিত্র্য, ঐতিহ্য আর সত্যের জন্য আমরা গর্বিত। এই বড় মুহূর্তের সামান্য অংশ হতে পারছি বলে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি, যেখানে আমরা নির্ভয়ে বিশ্বমঞ্চে ভারতকে উপস্থাপন করছি।”
লক্ষ্মণ উটেকর পরিচালিত ‘ছাবা’ ছবিতে দেখানো হয়েছে মারাঠা রাজা ছত্রপতি শম্ভাজি মহারাজের জীবনকাহিনি এবং মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে তাঁর সংঘাতের ইতিহাস। ছবিতে শম্ভাজির চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভিকি কৌশল, আর ঔরঙ্গজেবের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অক্ষয় খান্নাকে। ছবিটি বিশ্বব্যাপী আয় করেছে প্রায় ৮০৭ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, আদিত্য ধর পরিচালিত ‘ধুরন্ধর’ এক তুখোড় স্পাই থ্রিলার। যেখানে এক ভারতীয় গুপ্তচরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রণবীর সিং। পাকিস্তানি গ্যাং নেটওয়ার্কের ভেতরে ঢুকে সন্ত্রাসের জাল ভেঙে দেওয়ার কাহিনিই এ ছবির মূল সুর। ছবিতে রণবীর ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন অক্ষয় খান্না, আর.মাধবন, অর্জুন রামপাল এবং সঞ্জয় দত্ত। মুক্তির মাত্র ১৭ দিনের মধ্যে ‘ধুরন্ধর’ আয় করে নিয়েছে ৮৪৫ কোটি টাকারও বেশি এবং বলাই বাহুল্য দ্রুতই তা ১০০০ কোটির ক্লাবের দিকে দৌড়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
