নিজস্ব সংবাদদাতা: অভিনয় জগতে পা দেওয়ার পর থেকেই নিজের রূপ নিয়ে শুনতে হয়েছে নানা কটুক্তি। সুপারহিট বাংলা ছবি 'শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ'-কেন নেওয়া হবে অনামিকা সাহা কে? উঠেছিল সেই প্রশ্নও। সেই সময় পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। রে অবশ্য নিজের অভিনয় দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছিলেন তিনি একজন জাত অভিনেত্রী। 

 

বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর কথায়, "শুভেন্দুদা একবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে বলেছিলেন, 'এ কী পলুদা ইন্ডাস্ট্রিতে তো এবার বেণো জল ঢুকে যাচ্ছে, এতদিন 'চট্টোপাধ্যায়' 'বন্দোপাধ্যায়রা থাকলেও হঠাৎ করে এই 'সাহা' ঢুকে পড়ছে কেন'। সেই সময়ে বাড়িতে গিয়ে মায়ের কাছে খুব 
কেঁদেছিলাম।"

 

 

এমনই নানা তিক্ত অভিজ্ঞতা আজও ভুলতে পারেননি অনামিকা সাহা। তবে বর্তমানে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে পার করে ফেলেছেন ৪৫ বছর। এখন কি কাজ করে তিনি খুশি? তাঁর কথায়, "আজও বড়দের তেমনভাবে সম্মান করা হয় না, ধারাবাহিকে বিশেষ করে এই প্রবণতা দেখা যায়। নিজেরা নিজেদেরকে মনে করেন আমিই সব। অথচ তাদের এক্সপ্রেশন অভিনয় কিছুই ঠিক নেই, তাই জন্য আমি আর ধারাবাহিকে কাজ করতে চাই না। আমাদের সময় এরকম ছিল না, বড়দের থেকে শিখেছি, বন্ধুর মত একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া আড্ডা সব কিছু হত, কিন্তু এখন আর সেইসব কিছুই নেই ।"

 

 

পাশাপাশি অনামিকা সাহা বলেন, "বুম্বা-ঋতু আমার কাছে সেরা। অঙ্কুশও খুব ভাল। ওর প্রযোজনা সংস্থার নতুন ছবিতে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ি, তাই আর করা হল না। তবে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা আমার বাড়িতে এসে অনেকটা সময় কাটিয়েছে। একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেছি। আসলে নতুন প্রজন্মের সবাই সমান নয়।"

 

 

কিছুদিনের মধ্যেই উইন্ডোজ প্রোডাকশনের নতুন ছবি 'ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল'-এ কাজ শুরু করতে চলেছেন অনামিকা সাহা। এই চরিত্র পেয়ে তিনি দারুণ খুশি। তবে এই মুহূর্তে ধারাবাহিকে ফিরবেন না বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। শেষবার দর্শক তাঁকে দেখেছিলেন জি বাংলার 'মন দিতে চাই' ধারাবাহিকে।