উস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খান ন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল অফ মিউজিক অ্যান্ড ড্যান্স-এর অষ্টম বর্ষ সঙ্গীত ও নৃত্যপ্রেমীদের জন্য বরাবরের মতোই এক বিশেষ আয়োজন হয়ে উঠতে চলেছে। এই বছর উৎসবের মূল আকর্ষণ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সঙ্গে থাকছেন গ্র্যামির জুরি সদস্য এবং সুরকার পণ্ডিত প্রদ্যুত মুখার্জি। কিংবদন্তি সঙ্গীতজ্ঞ উস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খানের স্মৃতিকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই উৎসবের আয়োজন, যেখানে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং নৃত্যের ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।

হায়দরাবাদে আয়োজিত এই উৎসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে ১৪ ডিসেম্বর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের শাস্ত্রীয় নৃত্য পরিবেশনা। যার সুর করেছেন পণ্ডিত প্রদ্যুৎ মুখার্জি। উৎসবের যাবতীয় পরিকল্পনার দায়িত্বে লেখক এবং সমাজকর্মী অভিজিৎ ভট্টাচার্য।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বললেন, “পণ্ডিত প্রদ্যুৎ মুখার্জির সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি খুব খুশি। তাঁর সুর ও সঙ্গীত যে আবহ তৈরি করে, তা খুবই গভীর এবং সুন্দর। তাঁর এই সহযোগিতা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

পণ্ডিত প্রদ্যুৎ মুখার্জি বলেন, “ঋতুপর্ণার সঙ্গে প্রথমবার কাজ করতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। সঙ্গীত আর নৃত্যের মিলনে দর্শকরা একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা পাবেন। পাশাপাশি অটিজম আশ্রমের শিশুদের জন্য কাজ করা আমার কাছে গর্বের বিষয়। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মন দিয়ে একটি শাস্ত্রীয় সুর সৃষ্টি করেছি। এই উৎসবের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি সম্মানিত।”

উৎসবটি অটিজম আশ্রমের শিশুদের সহায়তায় আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত সব ক’টি প্রতিষ্ঠানকে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “ভারতীয় সঙ্গীত-নৃত্যের প্রচার এবং অটিজমের জন্য কাজ করা আমাদের কাছে বড় দায়িত্ব।”

সঙ্গীতাঞ্জলি ফাউন্ডেশন ভারতীয় সংস্কৃতি ও শিল্পকলার বিকাশের দিকটি আরও প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে কাজ করে। এই উৎসবের মাধ্যমে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং নৃত্যের পাশাপাশি লোকসঙ্গীত, লাইট মিউজিক, ফিউশন এবং সুফি ধারার শিল্পও তুলে ধরা হয়। ফাউন্ডেশনের মতে, হায়দরাবাদে শেষ জীবন কাটানো উস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খানকে শ্রদ্ধা জানানোই এই উৎসবের বড় লক্ষ্য।