দীপিকার ‘অগ্নিদৃষ্টি’!
রণবীর সিং–দীপিকা পাড়ুকোন বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত দম্পতিদের মধ্যে অন্যতম। তাঁরা প্রকাশ্য জীবনের মানুষ হলেও, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই থেকেছেন গোপনীয়। বিশেষত তাঁদের কন্যা দুয়া পাড়ুকোন সিং–কে ক্যামেরার আলো থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন শুরু থেকেই।

কিন্তু সম্প্রতি মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটে গেল ভিন্ন ঘটনা। দুয়াকে নিয়ে গাড়িতে যাচ্ছিলেন দীপিকা। সেই সময় এক ব্যক্তি চুপিচুপি মা-মেয়ের ভিডিও ধারণ করে ফেলেন। ক্লিপটিতে স্পষ্ট দেখা যায় দুয়ার মুখ—যা আগে পর্যন্ত মিডিয়ায় কখনও আসেনি।দীপিকা খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারেন যে কেউ গোপনে ভিডিও করছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাকান তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ‘ডেথ স্টেয়ার’-এ। তবুও ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। নেটিজেনদের বিরক্তি স্পষ্ট—ভক্তরা সোচ্চার হয়েছেন শিশুটির গোপনীয়তা রক্ষার পক্ষে। অনেকেই তীব্র সমালোচনা করেছেন সেই ব্যক্তিকে, যিনি দুয়াকে পরিবারের অনুমতি ছাড়াই ক্যামেরাবন্দি করেছেন।রণবীর-দীপিকা শুরু থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন—তাঁরা চান না দুয়ার মুখ প্রকাশ্যে আসুক বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ুক। তাই এই ঘটনা নিঃসন্দেহে তাঁদের অস্বস্তি ও ক্ষোভ বাড়িয়েছে।
বিরক্ত রাজা মুরাদ
বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা রাজা মুরাদ শুক্রবার মুম্বইয়ের আম্বোলি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন। কারণ? সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর মৃত্যুর ভুয়ো খবর! অভিনেতা জানিয়েছেন, এক অজ্ঞাত ব্যক্তি তাঁর মৃত্যু নিয়ে পোস্ট করেছেন। শুধু তাই নয়, সেখানে লেখা হয়েছে তাঁর জন্মদিনের পাশাপাশি একটি বানানো মৃত্যুর তারিখও—সঙ্গী ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’।

এক সাক্ষাৎকারে রাজা মুরাদ বলেন—“কিছু মানুষ আছে, যাদের মনে হয় আমার অস্তিত্বটাই সমস্যা। তারা আমার মৃত্যু নিয়ে পোস্ট করেছে, এমনকি শোকবার্তাও দিয়েছে। লিখেছে আমি বহু বছর কাজ করেছি, এখন আর কেউ মনে রাখে না। কিন্তু এসব একেবারেই মিথ্যে। এটা খুবই গুরুতর ব্যাপার।”
অভিনেতার কথায়, এই গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তিনি চরমভাবে ক্লান্ত।“আমার গলা, জিভ, ঠোঁট শুকিয়ে গেছে—প্রতিবার বলতে হচ্ছে আমি বেঁচে আছি। এই মিথ্যে খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। সারা বিশ্ব থেকে ফোন, মেসেজ আসছে। মানুষজন সেই ভুয়ো পোস্টের কপি পর্যন্ত পাঠাচ্ছে আমাকে।” রাজা মুরাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিনেতার দাবি, এই ধরনের ভুয়ো খবর শুধু তাঁর মানসিক শান্তিই কেড়ে নিচ্ছে না, বরং আইনভঙ্গের পর্যায়েও পড়ছে।
সোজাসাপটা কৃতি
জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন বলিউডের হাতে গোনা কিছু ‘বহিরাগত’দের একজন, যাঁরা নিজের যোগ্যতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে। ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়াই বলিপাড়ায় পা রাখা এই নায়িকা সম্প্রতি খোলাখুলি জানালেন—“বাইরের লোকদের জন্য বলিউডে পথ কখনওই মসৃণ নয়।”

কৃতি বলেন—“আপনাকে সত্যিই এই কাজটার প্রতি আবেগী হতে হবে। শর্টকাট বলে কিছু নেই। সহজে কিছু মেলে না এখানে। কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল—হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। বিশেষ করে যখন আপনি ফিল্মি পরিবার থেকে আসেননি, তখন তো কেউ প্লেটে করে সাজিয়ে সুযোগ দেবে না।”
তাঁর কথায়, বাইরের মানুষদের সবসময় শুনতে হয় —
“এই স্বপ্নটা খুব বড়, সম্ভব নয়।”
“যোগাযোগ নেই তো কাজ হবে কীভাবে।”
“তুমি লম্বায় কম, বেশি, শরীরে ঠিক নও, খুব পাতলা...”
কৃতি স্পষ্ট জানালেন—“মানুষ আপনাকে সব সময় বলবে আপনার মধ্যে কী কী খুঁত আছে। কিন্তু ‘তুমি পারবে’—এ কথা কেউ বলবে না। এটা নিজের ভেতর থেকে শুনতে হয়।”বলিউডে বহু বছর ধরে ‘ইনসাইডার বনাম আউটসাইডার’ বিতর্ক চললেও, কৃতি শ্যাননের লড়াই আর সাফল্য প্রমাণ করছে—অভিনয় আর অধ্যবসায় থাকলে সব অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়।
