প্রতি সপ্তাহে বেশ টক্কর দিয়ে টিআরপিতে নিজের জায়গা পাকা করতে দেখা যায় জি বাংলার ধারাবাহিক 'ফুলকি'কে। নতুন মেগাদের ভিড়ে কিন্তু একেবারেই ফিকে হয় না ফুলকি-রোহিতের গল্প। নতুনদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতি সপ্তাহে নিজের মতো করে লড়ছে এই ধারাবাহিক।
বর্তমানে গল্পের দৌড়ে বেশ এগিয়ে এসেছে এই মেগা। ফুলকি-রোহিতের না বলা ভালবাসা ধীরে ধীরে পূর্ণতা পেয়েছে। তাদের জুটির রোমান্টিক সিন দেখতে তাই দারুণ পছন্দ করেন দর্শক। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান দেখে বেজায় খুশি হয়েছিলেন দর্শক। এদিকে, অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, ফুলকি-রোহিতের জীবনে এবার হয়তো ছোট্টো সদস্য আসবে।
কিন্তু সেই চমকের আগেই গল্পে এল এক বিরাট টুইস্ট। রুদ্র আবারও ফিরে এসেছে। রোহিতকে সে কিডন্যাপ করে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজও করে ফেলে রুদ্র। রোহিতকে একটা ঘরে বন্দি করে রাখে সে। বন্দুক তাক করে তার দিকে। রোহিত কিছু বুঝে ওঠার আগেই রুদ্র তাকে গুলি করে। রোহিতের বুকে এসে লাগে সেই গুলি।

ফুলকি খবর পেয়ে তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু রুদ্র এবারও ফুলকির চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে এসে ফুলকি ও রোহিতের পরিবারের লোকজন জানতে পারে রোহিতের ব্রেন ডেথ হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। চিকিৎসকের মুখে এই কথা শোনা মাত্র ফুলকি রোহিতের জন্য হার্ট ডোনার খুঁজতে যায়। অবশেষে পাওয়াও যায়।
 
 চিকিৎসককে ফুলকি অনুরোধ করে যে, রোহিতকে যে হার্ট দান করছে তাকে একবার সে দেখতে চায়। চিকিৎসক রাজি হলে হাসপাতালের একটি ঘরের সামনে আনা হয় ফুলকিকে। দরজার ফাঁক দিয়ে সে দেখতে পায় একটি মধ্যবয়সী পুরুষ শুয়ে আছে বিছানায়। মুখের দিকে নজর পড়তেই চমকে ওঠে ফুলকি। এ তো অবিকল রোহিত! 
ভয়ে সবটা গুলিয়ে যায় তার। রোহিতের যদি ব্রেন ডেথ হয়, তাহলে হার্ট ডোনার কে? দু'জন আলাদা মানুষকে অবিকল এক দেখতে হয় কীভাবে? তাহলে কি রোহিতের যমজ ভাই আছে? কিন্তু এতদিন তার পরিচয় কেন গোপন করে রাখবে পুরো পরিবার? নাকি এসব পুরোটাই রুদ্রর চক্রান্ত? কে আসল রোহিত আর কে নকল? কীভাবে বুঝবে ফুলকি? এই সবের মাঝেই গল্পে এল আরও এক নতুন মোড়।

দেখা যাচ্ছে রোহিতের মতো যাকে দেখতে সে ফুলকিদের বাড়িতে এসেছে রয়েছে। এদিকে, মারা গিয়েছে রোহিত। আর রোহিতের থেকে স্বভাবে একেবারেই আলাদা নতুন এই মানুষটি। যদিও অল্প দিনেই বাড়ির সবার পছন্দের হয়ে উঠেছে সে। কিন্তু ফুলকির মন কিছুতেই জয় করতে পারছে না সে। তাকে দেখলেই বিরক্ত হয় ফুলকি। এদিকে, সে জানায় রোহিতের আসল খুনিকে খুঁজে বের করতে ফুলকিকে সাহায্য করতে চায়। কিন্তু ফুলকি কিছুতেই রাজি হয় না। কিন্তু সে-ও নাছোরবান্দা। ফুলকির মন জয় করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। এবার কি গল্পে শুরু হবে নতুন অধ্যায়? রোহিতকে ভুলে নতুন জীবন শুরু করবে ফুলকি?
 
 গল্পে দ্বৈত চরিত্রে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় নায়ক কিংবা নায়িকাকে। তবে এবার 'ফুলকি'র নতুন মোড়ে ঠিক কোন চমক অপেক্ষা করছে দর্শকের জন্যে, তা জানতে হলে নজর রাখতে হবে ধারাবাহিকের আগামী পর্বে।
