শুরুর সপ্তাহ থেকেই দর্শকের মন জয় করেছিল জি বাংলার পারুল-রায়ান।‌ 'পরিণীতা'র টিআরপিও ছিল চোখে পড়ার মতো‌। তবে এখন বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রথম স্থান হাতছাড়া হলেও কিন্তু দুই কিংবা তিন নম্বরে নিজের জায়গা ধরে রাখে এই মেগা। 

 


এই ধারাবাহিক অল্প দিনেই মন জয় করেছে দর্শকের। পারুল-রায়ানের গল্পের নিত্যনতুন মোড় দেখার অপেক্ষায় থাকেন অনুরাগীরা। এদিকে, শত চেষ্টা করেও কিছুতেই ভাব জমে না পারুল-রায়ানের। পারুলকে স্ত্রী হিসাবে মেনে নেয় না রায়ান। কিন্তু পরিবারের বিপদে একে অপরের সঙ্গে জোট বাঁধতে ভোলে না। শ্বশুরবাড়িতে এসে অনেক অপমানের শিকার হলেও নিজের বুদ্ধিতে বাজিমাত করছিল পারুল।

 


এভাবে গল্প এগোলেও পারুল ও রায়ানের রোমান্টিক দৃশ্যও নজর কেড়েছে দর্শকের। দু'জন কাছাকাছি এসেও আবারও দূরে সরে যায়। তবে বিপদের মোকাবিলা হাতে হাত মিলিয়ে করে তারা। ধারাবাহিকে আসছে নতুন এক চমক। কিছুদিন আগেই পারুলের বোন টগর ও রায়ানের ভাই মল্লারের বিয়ে হয়েছে। টগর ও মল্লারের কেমিস্ট্রি বেশ মনে ধরেছে দর্শকের। 

 

 

এর মধ্যেই এক বিরাট সত্যির মুখোমুখি পারুল। রায়ানের সঙ্গে কলেজে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে সে। যাওয়ার আগে বাবাকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেয় সে, যাতে পরীক্ষা ভাল হয়। ঠিক সেই সময় টগর এসে বলে বাবার আশীর্বাদ নিয়ে কী হবে? এতদিন যাকে বাবা বলে জানত, সে তো পারুলের আসল বাবা নয়! টগরের মুখে এই কথা শুনে পারুল অবাক হয়ে যায়। বাবাকে সত্যিটা জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু সেও কিছুতেই মুখ খুলতে চায় না। অবশেষে সবটা বুঝতে পারে পারুল। এরকম একটা কঠিন সত্যি হঠাৎ করে জেনে খুব ভেঙে পড়ে সে। 

 


এদিকে, এসবের মূলে রয়েছে রায়ানের মা, অর্থাৎ পারুলের শাশুড়ি। সে এসে রায়ানের দাদুকে জানায়, পারুলের কোনও জন্মপরিচয় নেই! তাহলে সে কীভাবে এই বাড়িতে থাকবে? মায়ের এই কথা শুনে রেগে যায় রায়ান। সে পারুলের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে ভরসা জোগায়। রায়ান পারুলকে বলে, সে যেন নিজের পরিচয় নিজেই গড়ে নেয়। রায়ানের কথায় মনে জোর পায় পারুল। তবে আসল সত্যিটা কী? পারুলের বাবা কে? নতুন প্রোমো সামনে আসতেই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন ধারাবাহিকের অনুরাগীরা।

 

আরও পড়ুন: বিরাট শোকের ছায়া বিনোদন জগতে! হঠাৎ প্রয়াত 'রামায়ণ' পরিচালকের ছেলে


কিছুদিন আগে গল্পে দেখানো হয়েছিল পারুলের বোন টগরের বিয়ে হচ্ছে। বিয়ের আসরে বর এসে দাঁড়িয়ে আছে, তবুও বিয়ে শুরু হচ্ছে না। কিন্তু কেন? আসলে টগরের বর বিয়েতে যৌতুক হিসেবে একটি মোটর বাইক চেয়েছে। সেই বাইক এখনও মণ্ডপে এসে পৌঁছায়নি বলে বিয়ে করতে নারাজ সে। টগরও বারবার পারুলকে জিজ্ঞাসা করছে, বাইকের কী হল? পারুল বোনকে আশ্বাস দিয়ে জানায়, বাইক ঠিক আসবে সে যেন ভয় না পায়।

 

 

এদিকে অধৈর্য হয়ে বিয়ের আসর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে যায় টগরের বর। ঠিক সেই সময় বাইকটি নিয়ে আসে একজন। বাইক দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পরে হবু বর। তখনই পারুল এসে বাধা দেয়‌। বাইকের লোভে যে বিয়ের পিঁড়ি থেকে উঠে পড়তে পারে তার সঙ্গে কিছুতেই টগরের বিয়ে হতে দেবে না বলে জানায় পারুল। হবু বরকে তাড়িয়ে দেয় বিয়ের আসর থেকে। ভেঙে যায় টগরের বিয়ে। অপমানে, লজ্জায় গলায় দড়ি দিতে চায় টগর। পারুল ও রায়ান এসে তাকে আটকালে এক ভয়ঙ্কর কথা বলে সে! 

 

 

টগর জানায়, পারুলের জন্য তার বিয়ে ভেঙে গিয়েছে। তাহলে পারুলের দেওর অর্থাৎ মল্লারের সঙ্গে যেন তার বিয়ে দেওয়া হয়। টগরের মুখে এই কথা শুনে অবাক হয়ে যায় পারুল-রায়ান। এই কথা শুনে ফেলে মল্লারও। যদিও সেই সময় টগরকে বিয়ে করে সে। এখন পারুল-রায়ানের পাশাপাশি, টগর-মল্লারের কেমিস্ট্রি নিয়েও বেজায় কৌতূহল দর্শক মহলে।