বিরাট চমক স্টার জলসার ধারাবাহিক 'চিরসখা'য়। এবার চিরকালের মতো আলাদা হয়ে যাবে কমলিনী ও স্বতন্ত্রর পথ। সম্প্রতি, মুক্তি পাওয়া ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো দেখে এমনটাই সন্দেহ করছেন দর্শক। কিছুদিন আগেই দেখা গিয়েছিল একটা বিয়েবাড়িতে এসেছিল কমলিনী ও স্বতন্ত্রর পরিবার। সেখানে মণ্ডপ থেকে বরকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। কারণ, তার বিরুদ্ধে নাকি অনেক অভিযোগ রয়েছে। কনের চরিত্রে দেখা যায় অভিনেত্রী কমলিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর চরিত্রের নাম পার্বতী।

 

 

 

 

বিয়ের পিঁড়িতে বসে তার সঙ্গে এমনটা হবে কল্পনাও করতে পারেনি পার্বতী। সেই সময় স্বতন্ত্রর দাদার কাছে কনের বাবা হাত জোড় করে অনুরোধ করে যে, এত বছর তাদের সম্পত্তি দেখভাল করেছে সে দায়িত্ব সহকারে। তাই তার মেয়ের এই সর্বনাশ আটকাতে স্বতন্ত্র যেন তাকে বিয়ে করে। এই অনুরোধ শুনে সরাসরি না বলে দেয় স্বতন্ত্র নিজেই। কিন্তু কমলিনী বাধা দেয়। 

 

 

 

কমলিনী জানায়, স্বতন্ত্রর উচিৎ এই অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করা। বৌঠানের কথা রাখতে নিজের অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিল নতুন ঠাকুরপো। তবে পার্বতীর সিঁথিতে সিঁদুর পরায়নি সে। পার্বতী নিজেই সিঁদুর পরে নেয়‌। এরপর থেকে অযাচিতভাবেই নতুনের স্ত্রীর অধিকার বুঝে নিতে চায় পার্বতী। পার্বতীর এই খেলায় তাকে সাধ দেয় বর্ষা। 

 

 

আরও পড়ুন: ওটিটিতে হাতেখড়ি শমীক রায়চৌধুরীর, প্রথম সিরিজেই বাংলার অপরাধ জগতকে টেনে কোন গল্প বলবেন পরিচালক? 

 

এদিকে, সামাজিক বিয়ে না হওয়ায়, স্বতন্ত্রকে আইনি বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে পার্বতী। অন্যদিকে, কমলিনীও ধীরে ধীরে সরে যায় নতুনের জীবন থেকে। এক প্রকার বাধ্য হয়েই আইনি বিয়েতে মত দেয় নতুন। কিন্তু সাক্ষী হিসেবে সে কমলিনীকে সই করতে বলে। কমলিনীর মনে আঘাত লাগলেও সে মনকে শক্ত করে স্বতন্ত্র ও পার্বতীর বিয়েতে সাক্ষী হয়। এদিকে, নতুন কনের বেশে সেজে হাজির হয় পার্বতীও। তবে এবার কি সত্যিই আইনি কাগজেই আলাদা হয়ে যাবে কমলিনী ও স্বতন্ত্রর পথ? কী হতে চলেছে ধারাবাহিকের নতুন মোড়ে?

 

 

 

 

প্রসঙ্গত, ধারাবাহিকের গল্পে আত্মীয় থেকে কী করে আত্মার আপন হয়ে উঠেছে স্বতন্ত্র? কমলিনীর পাশে কীভাবে দাঁড়িয়েছে সে? কমলিনী যখন তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে একদম একা হয়ে গিয়েছিল, তখন তার পাশে কেউ ছিল না। ছেলেমেয়েকে শহরের নামী স্কুলে ভর্তি করার সময় বিপাকে পড়েছিল কমলিনী। প্রিন্সিপাল প্রশ্ন করেছিল তাকে, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ সে কীভাবে একা হাতে সামলাবে? তখন অসহায় হয়ে পড়ে সে। সেই সময় তার পাশে এসে দাঁড়ায় নতুন ঠাকুরপো। বুবলাই, বাবিল ও মিঠির পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয় সে। এভাবেই পাশে এসে দাঁড়ায় স্বতন্ত্র। 

 

 

 

 

ছোট ছোট বিপদে কমলিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে স্বতন্ত্র। আগলে নিয়েছে কমলিনীর তিন ছেলে-মেয়েকে। এভাবেই সে কমলিনীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে উঠেছে। মাঝেমধ্যেই এখন পিছনে ফিরে দেখলে এইসব কথা মনে পড়ে যায় কমলিনীর।‌ তবে এবার দু'জনের জীবনে দু'দিকে মোড় নিয়েছে। কী হবে শেষমেশ? তা জানার জন্য অপেক্ষায় দর্শক।