নিজস্ব সংবাদদাতা: থমথমে কোর্ট রুম। চলছে বিচার পর্ব। আসল অপরাধীর মুখোশ কি খুলে দিতে পারবে ফুলকি-রোহিত? জানতে আজকাল ডট ইন পৌঁছে গিয়েছিল ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওয় জি বাংলার ধারাবাহিক 'ফুলকি'র শুটিং ফ্লোরে।

 

বিচার পর্ব সেরে ক্লান্ত পর্দার রোহিত। সকাল থেকে চলছে শুটিং। দুপুর গড়িয়ে গিয়েছে, তবুও একটু বিশ্রাম পায়নি। তাই সোফায় বসেই চোখ বুজে আসছে তার। সবে একটু চোখ জুড়ে এসেছে। ঠিক সেই সময় ফ্লোর থেকে প্রায় লাফিয়ে এল ফুলকি। ব্যস রোহিতের ঘুম গেল চটকে! তবে এবার আর বকুনি জুটল না, বরং খুনসুটিতে মজলেন নায়ক-নায়িকা।

গল্পে প্রেমটা ঠিক জমছিলই না, বারবার বাধা। যদিও এখন একটু একটু করে কাছে আসা হয়েছে!জোরে হেসে 'রোহিত' ওরফে অভিষেক বসু বলেন, "হ্যাঁ, একটু একটু করে ভাব জমছে। আসলে ফুলকিরই ফুলশয্যা করার ইচ্ছেটা বেশি।" এই কথা শুনে লজ্জায় লাল 'ফুলকি' ওরফে দিব্যানী মন্ডল। কথায় কথায় ফুলকিকে মেরে দাঁত ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়, বাস্তবে কে কার উপর বক্সিং পরখ করে? অভিষেকের কথায়, "ফুলকি। ও একেবারে সত্যি সত্যিই গায়ের জোরে মারে। কিছু বললেই অভিমান হয়। আর রেগে গেলে মেরে দেয়।" মিচকি হেসে অভিষেকের কথায় সায় দেয় দিব্যানীও।

 

প্রায় দু'বছর পার করে একে অপরের মধ্যে কী পরিবর্তন লক্ষ্য করলেন? অভিষেক বলেন, "দিব্যানী অনেক শান্ত হয়েছে। বুঝতে শিখেছে। আর অতিরিক্ত বেশিও বুঝতে শিখেছে।" কথা শেষ হওয়ার আগেই অভিষেককে কয়েক ঘা বসালেন দিব্যানী। নায়িকার কথায়, "অভিষেকদা একই আছে। আমরা দু'জনে দর্শকের আরও প্রিয় হয়ে উঠেছি, এটাই অনেক।" পর্দার 'ফুলকি' চ্যালেঞ্জ নিতে সবসময় প্রস্তুত। বাস্তবেও কি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে? দিব্যানীর জবাব, "আসলে, অনেক খারাপ অভিজ্ঞতা সবসময় মনে রাখতে চাই না। যখন প্রথম 'ফুলকি'র চরিত্রের প্রস্তাব এল আমার কাছে। বক্সিং চ্যাম্পিয়ন হিসাবে নিজেকে দেখব পর্দায়, এটা ভেবেই খুব ভাল লাগছিল। তখন সবাইকে বলেছিলাম আমার এই সুযোগের কথাটা। অনেকেই জবাবে আমায় বলেছিলেন, 'তোর দ্বারা হবে না'। মন ভেঙে গিয়েছিল। কিন্তু নিজের কাছে নিজেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলাম, এখনও রোজ লড়াই করি।" দিব্যানীর কথা মন দিয়ে শুনছিলেন অভিষেক। কথা শেষ হতেই জোরে বলে উঠলেন 'সাবাশ ফুলকি'। থমথমে সেটেই উঠল নায়ক-নায়িকার হাসির রব।