‘আনন্দী’র বাড়িতে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ঙ্কর ভাইরাস! পরিবারের সদস্যরা একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছে। কীভাবে এই মারণ ভাইরাস থেকে পরিবারকে রক্ষা করবে ‘আনন্দী’, তা জানতে আজকাল ডট ইন পৌঁছে গিয়েছিল এনটি ওয়ান স্টুডিওয়, জি বাংলার ধারাবাহিক ‘আনন্দী’র শুটিং ফ্লোরে।


খুনসুটিতে আদি-আনন্দী


ফ্লোরে চলছে ধুন্ধুমার কাণ্ড। একা হাতে আনন্দী সবকিছু সামলাচ্ছে। কিন্তু তার পাশে আদি নেই কেন? কারণ, দুপুরের খাবার খেয়ে একটু ভাতঘুম দিচ্ছেন নায়ক। এদিকে ফ্লোর ম্যানেজারের হাতে লম্বা স্ক্রিপ্ট। মেকআপ আর্টিস্ট ফিসফিস করে কানে কানে কিছু বলতেই প্রায় লাফিয়ে উঠলেন পর্দার নায়ক 'আদি' ওরফে ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে হাতে স্ক্রিপ্ট নিয়ে হাজির নায়িকা অন্বেষা হাজরাও। 


দু’জন একসঙ্গে হতেই যেন পুরনো খামে নতুন চিঠির মতো স্বাদ। ফের জুটিতে এক হতে সময় লাগল মাত্র কয়েকটা বছর। এই ক’দিনে কতটা বদল লক্ষ্য করছেন একে অপরের মধ্যে? একগাল হেসে অন্বেষার জবাব, “ঋত্বিকদা ভাল গাড়ি চালাতে শিখেছে। আর মন থেকে আরও স্বচ্ছ হয়ে গিয়েছে।” ঋত্বিকের কথায়, “অন্বেষার সঙ্গে আগের ধারাবাহিকে ড্রাইভারের চরিত্রে অভিনয় করলেও গাড়ি চালাতে পারতাম না, এখন সেটা পারি। আর ওর আরও ধৈর্য বেড়েছে, রাগ কমেছে।”


কে আসল ‘ভ্যালেন্টাইন’?


কথায় বলে, নায়ক-নায়িকার আগে থেকে পরিচয় থাকলে কাজের ক্ষেত্রে বেশ সুবিধা হয়। নতুন ধারাবাহিকে কাজ করতে গিয়ে কতটা নস্টালজিক হয়ে পড়েন? ঋত্বিকের কথায়, “একসঙ্গে অনেক মজার স্মৃতি রয়েছে। আগে খুব মিস করতাম আমাদের আড্ডাগুলো। তবে এখন নতুন স্মৃতি তৈরিতেই বেশি মন আমাদের।” ঋত্বিকের কথায় সায় দেয় অন্বেষাও। সেরা জুটির প্রত্যাবর্তনে কি দায়িত্ব একটু বেশি? প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই অন্বেষার জবাব, “এই সেরা জুটির তকমাটা দর্শক আমাদের দিয়েছেন। আমাদের কেমিস্ট্রি তাঁদের পছন্দ হয়েছে বলেই এই তকমা আমরা পেয়েছি। কিন্তু শুধুমাত্র আমরাই এর দাবিদার নই। আমাদের জুটিকে ফুটিয়ে তোলার পিছনে রয়েছেন পরিচালক, টেকনিশিয়ানরা, মেকআপ আর্টিস্টরা প্রত্যেকেই। তাই এই তকমাটা সবার প্রাপ্তি। আর এই নতুন ধারাবাহিকে আমরা ফের আদি-আনন্দী জুটিকেও সেরা জুটি করে তোলার চেষ্টা করব।”

 

ভালবাসার মরশুম কেমন কাটছে? জোরে হেসে ঋত্বিক বলেন, “মনে রাখি না। আমার কাছে ভালবাসার বিশেষ দিন নেই। সেই অর্থে রোজই সেলিব্রেট করা উচিত।” অন্বেষার কথায়, “আসলে এত কাজের চাপ যে ভালবাসার সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও টের পাই না। এখন তো জি বাংলাই আমার ভ্যালেন্টাইন।” অন্বেষার কথায় হেসে উঠলেন ঋত্বিক। হাসির শব্দ বাইরে যেতেই ধমক এল পরিচালকের থেকে। সঙ্গে সঙ্গে দু’জন দু’দিকে ফিরে পরবর্তী দৃশ্যের সংলাপ ঝালিয়ে নিতে থাকলেন।