নিজস্ব সংবাদদাতা: সুপারস্টার শাক্যজিৎকে নাকি বিয়ে করতে হবে আরশির! পরিস্থিতির চাপে পড়ে কি বিয়েতে রাজি হবে তারা? কীভাবে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক বদলাবে ভালবাসায়? জানতে আজকাল ডট ইন পৌঁছে গিয়েছিল দাসানি ১ স্টুডিওতে, জি বাংলার ধারাবাহিক 'তুই আমার হিরো'র শুটিং ফ্লোরে।


পড়াকু নায়িকা

থমথমে ফ্লোর। সবার চোখেমুখে চিন্তার ছাপ। কারণ, ঘোর বিপাকে পড়েছে শাক্য। প্রচুর টাকা ক্ষতি হয়েছে তার ছবির। মুখ পুড়েছে বিনোদন জগতে। তাই বাড়ির লোকের ঘুম উড়েছে। চলছে একটানা সিন। এর মাঝেই ফ্লোরের এক কোনায় বসে স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করছে পর্দার 'আরশি' ওরফে মোহনা মাইতি। এক্সপ্রেসশনের সঙ্গে হাত নেড়ে চলছে মুখস্থ পর্ব। পরীক্ষার পড়ার মতো দুলে দুলে স্ক্রিপ্ট পড়ছেন তিনি। কিছুক্ষণ পর জল খেতে বাইরে এলেন। দৃশ্যের জন্য এখন একেবারে প্রস্তুত মোহনা, তাই ফ্লোরের বাইরে পায়চারি শুরু। এভাবেই কি প্রতিটা দৃশ্যের প্রস্তুতি চলে? প্রশ্ন শুনে একটু লজ্জা পেলেন যেন। মোহনার জবাব, "হ্যাঁ। আসলে চেষ্টা করি সিনের মাঝে কোনও ভুল না করতে। তাই যতটা পারি মন দিয়ে স্ক্রিপ্টটা পড়ি। তখন কোনওদিকে তাকাই না। দৃশ্যটা মনে মনে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি।" 'আরশি'র মতো মোহনাও কি ডানপিটে? জোরে হেসে নায়িকার জবাব, "ছোটবেলায় খুব দুষ্টু ছিলাম। স্কুলে ছেলেদের পেটাতাম। কিন্তু বড় হয়ে অনেক শান্ত হয়ে গিয়েছি।" আপনার চোখে সুপারস্টার কে? মোহনার ঝটতি জবাব, "দু'জন আছেন। দেবদা আর শাহরুখ খান।" তাঁদেরকে কাছ থেকে দেখলে কী প্রশ্ন করবেন? মোহনার কথায়, "আমি কিছু করার অবস্থায় থাকব না। হাঁ করে শুধু দেখব।" নিজের জবাবে নিজেই হেসে উঠলেন নায়িকা। 


রুবেলের 'সুপারস্টার' কে? 


এতক্ষণে ফ্লোরের থমথমে পরিবেশ কাটিয়ে বাইরে এলেন 'শাক্যজিৎ' ওরফে রুবেল দাস। কেমন লাগছে 'সুপারস্টার শাক্যজিৎকে'? মুচকি হেসে রুবেল বলেন, "নেহাত মন্দ নয়। তবে বড্ড দেমাক। রুবেলের কিন্তু এসব নেই। আমি একদম ছাপোষা।" তাহলে 'শাক্য'র সঙ্গে আপনার মোটেই মিল নেই? নায়কের জবাব, "না একেবারেই যে নেই, তা নয়। সুপারস্টার হওয়ার আগে শাক্য যে মানুষটা ছিল, আমি খানিকটা সেরকম। পরিবারের জন্য এই চরিত্রটার যে ভাবনা আছে, আমিও ঠিক তেমনই পরিবারকে ঘিরেই বাঁচি।" আপনার চোখে সুপারস্টার কে? "একজনই, উত্তম কুমার। সুপারস্টার বলতে ওঁর মুখটাই ভেসে আসে। আজও পর্দায় সাদা-কালো ছবিতে যখন উত্তম কুমারকে দেখি, চোখ ফেরাতে পারি না।" আরশির সঙ্গে ভাব কি হবে? জোরে হেসে রুবেলের জবাব, "ওরে বাবা! সে তো দূর কী বাত। কী থেকে কী হবে, তা বোঝা মুশকিল।"