অবশেষে সব নাটকীয়তার ইতি! দর্শকের ইচ্ছাপূরণ হল। কারণ চিরসখার নতুন যে প্রোমো সামনে এল তাতে দেখা গেল কমলিনীর সিঁথি ভরে সিঁদুর পরিয়ে দিল স্বতন্ত্র! এই প্রোমো দেখেই অবাক দর্শক! মিশ্র প্রতিক্রিয়া ভেসে এসেছে সমাজমাধ্যমে। দর্শক মহল যদিও এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করেছিল, তবে হুট করে যে তা সত্যি হয়ে যাবে সে কথা কল্পনাও করতে পারেননি সিরিয়ালপ্রেমীরা। 

 


যদিও কমলিনী ও স্বতন্ত্রর বিয়েটা হয়ে গিয়েছিল আগেই। কমলিনীর ব্রেন টিউমারের অপারেশন করানোর আগেই রেজিস্ট্রি কাগজে সই করিয়ে নেয় স্বতন্ত্র। পার্বতীর ছলচাতুরি আটকাতে একটু কৌশল অবলম্বন করে সে। এবার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে সামাজিকভাবে কমলিনীকে স্ত্রীর পরিচয় দিল স্বতন্ত্র।‌

 


কিন্তু মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে কি মেনে নিতে পারবে বাবিল, বুবলাই বা মিঠি? আর কমলিনীর শাশুড়ি? সে-ই বা কী করবে এই পরিস্থিতিতে? সদ্য মুক্তি পাওয়া ধারাবাহিকের নতুন প্রোমোতে কমলিনী ও স্বতন্ত্রর বিয়ে দেখে অনেকেই যদিও বলছেন এই বিয়ে নিছকই স্বতন্ত্রর পরিকল্পনা। ঘুমের ঘোরে কিংবা মনের অবচেতনে কমলিনীকে স্ত্রীর পরিচয়ে দেখছে সে। তবে গল্প অনুযায়ী আইনি বিয়ে হয়েছে যখন, তখন সামাজিক বিয়েতে বাধা নেই বলেই মত একদল নেটিজেনের। 

 

আরও পড়ুন: 'বাংলা সেরা' হওয়ার দৌড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই! টিআরপির প্রথম স্থান এবার কার দখলে?

 


এদিকে, কিছুদিন আগেই সামাজিক বিয়ে না হওয়ায়, স্বতন্ত্রকে আইনি বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে পার্বতী। অন্যদিকে, কমলিনীও ধীরে ধীরে সরে যায় নতুনের জীবন থেকে। এক প্রকার বাধ্য হয়েই আইনি বিয়েতে মত দেয় নতুন। কিন্তু সাক্ষী হিসেবে সে কমলিনীকে সই করতে বলে। কমলিনীর মনে আঘাত লাগলেও সে মনকে শক্ত করে স্বতন্ত্র ও পার্বতীর বিয়েতে সাক্ষী হয়। এদিকে, নতুন কনের বেশে সেজে হাজির হয় পার্বতীও। তবে এবার কি সত্যিই আইনি কাগজেই আলাদা হয়ে যাবে কমলিনী ও স্বতন্ত্রর পথ? এই প্রশ্নের মাঝেই দর্শক দেখেছিলেন কমলিনীর সঙ্গেই ছল করে আইনি বিয়েটা করে স্বতন্ত্র। 

 

প্রসঙ্গত, ধারাবাহিকের গল্পে আত্মীয় থেকে কী করে আত্মার আপন হয়ে উঠেছে স্বতন্ত্র? কমলিনীর পাশে কীভাবে দাঁড়িয়েছে সে? কমলিনী যখন তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে একদম একা হয়ে গিয়েছিল, তখন তার পাশে কেউ ছিল না। ছেলেমেয়েকে শহরের নামী স্কুলে ভর্তি করার সময় বিপাকে পড়েছিল কমলিনী। প্রিন্সিপাল প্রশ্ন করেছিল তাকে, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ সে কীভাবে একা হাতে সামলাবে? তখন অসহায় হয়ে পড়ে সে। সেই সময় তার পাশে এসে দাঁড়ায় নতুন ঠাকুরপো। বুবলাই, বাবিল ও মিঠির পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয় সে। এভাবেই পাশে এসে দাঁড়ায় স্বতন্ত্র। 

 


ছোট ছোট বিপদে কমলিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে স্বতন্ত্র। আগলে নিয়েছে কমলিনীর তিন ছেলে-মেয়েকে। এভাবেই সে কমলিনীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে উঠেছে। মাঝেমধ্যেই এখন পিছনে ফিরে দেখলে এইসব কথা মনে পড়ে যায় কমলিনীর। বহু ওঠাপড়া এসেছে তাদের দু'জনের জীবনে। এবার কি এক হবে কমলিনী ও স্বতন্ত্রর পথ? কী হবে শেষমেশ? তা জানার জন্য অপেক্ষায় দর্শক।