প্রাইম ভিডিওর নতুন টক শো ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কল’–এর প্রথম পর্বই প্রমাণ করল, এটি কোনও আর পাঁচটা সাধারণ সাক্ষাৎকার ভিত্তিক নয়। শো-টি যৌথভাবে সঞ্চালনা করছেন বলিউডের দুই বিপুল আলোচিত ব্যক্তিত্ব—কাজল এবং টুইঙ্কল খান্না। এই শো তার প্রথম পর্ব থেকেই পরিষ্কার ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারকা অতিথি, চটুল মন্তব্য, হাসি-ঠাট্টা এবং সব সময় কিছুটা হঠাৎ অপ্রত্যাশিত মুহূর্ত— সব মিলিয়ে একটি পার্টির টেবিলের মতো ব্যাপার, যেখানে সবাই খোলামেলাভাবে নিজের মনের কথা ভাগ করবেন।
শোয়ের প্রথম পর্বে অতিথি ছিলেন বলিউডের দুই ‘হেভিওয়েট’—সলমন খান এবং আমির খান। পুরো পর্বটি হাসি, হালকা খামখেয়ালি এবং আন্তরিক আলাপের ককটেলে তৈরি হয়েছে। আড্ডার টেবিলে প্রথম খুনসুটি উঠে এল বড়া পাও ও প্রোটিন শেক খাওয়া নিয়ে। পর্বটি শুরু হয় স্ট্রিট ফুড খাওয়ার নানান মুহূর্ত দিয়ে। কাজল সলমনকে খাবার দেওয়ার চেষ্টা করলেন, কিন্তু প্রথমে সলমন অস্বীকার করলেন—“না, না আমি খাচ্ছি না বাবা। একবার খেতে শুরু করলে থামব না।”
টুইঙ্কল খন্না তাঁর স্বাভাবিক চটকদার স্টাইলে সলমনকে বড়া পাও খেতে রাজি করান, যদিও টেবিলে তখন নানা ধরনের খাবার দিয়ে সাজানো ছিল, যার মধ্যে ছিল কাজলের হোমমেড প্রোটিন শেক। কাজল তার প্রোটিন শেকের রেসিপি শেয়ার করলেন—“কিছু ডিম, বাদামের দুধ এবং কমলা জুস।” শোনামাত্রই টুইঙ্কল সঙ্গে সঙ্গে বললেন— “জঘন্য!” পাল্টা জবাবে কাজল,বলে উঠলেন ,“শুনতে খারাপ লাগছে হয়ত, কিন্তু আসলে এটি স্বাদে খুবই ভাল।” আমির হাসিমুখে যোগ করলেন—“১০০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর।” সলমন মজার ছলে সতর্ক করলেন—“১০০ শতাংশ নিশ্চিত আমার পাকস্থলীতে সমস্যা তৈরি করবে।”
এখানেই হাসি-ঠাট্টার প্রথম ঝলক থামেনি। পরবর্তীতে টুইঙ্কল নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন “অত্যন্ত অর্গানিক” খাবারের সঙ্গে, যা শুনে টেবিলের সবাই হতবাক হয়ে গেল।
কী সেই টুইঙ্কলের অর্গানিক অভিজ্ঞতা ? টুইঙ্কল বলেন—“একবার কারও বাড়িতে গিয়েছিলাম, তিনি বললেন, ‘সব অর্গানিক। স্যালাডআমার বাগান থেকে। আমি কিছু ব্যবহার করি না, শুধু নিজের প্রস্রাব দিয়ে সার দিই!”
সলমন অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন—“সেকি! আর তুমি খেলে?” টুইঙ্কল তার স্বভাবসুলভ রসবোধ মিশিয়ে জবাব দিলেন— “হ্যাঁ, খেলাম। কারণ ভয় পেয়েছিলাম না খেললে হয়তো আমার বাড়ি রেইড করা হবে। তাই খেয়ে নিলাম।”
সলমন তখন জানতে চাইলেন কার বাড়ির স্যালাড ছিল, কিন্তু টুইঙ্কল নাম প্রকাশ করেননি। সঙ্গে সঙ্গে টেবিলে হাসির ঝড়—কাজল, সলমন এবং টুইঙ্কল একসঙ্গে হেসে উঠলেন। এই ছোট্ট মুহূর্তটি শো-এর চরিত্রের মূল ফ্লেভার তুলে ধরে - সরাসরি, খোলামেলা এবং চটুল রসিকতা।
শোটি কেবল হাসি-ঠাট্টার জন্য নয়, বরং অতিথিদের ব্যক্তিগত গল্প, প্রিয় মুহূর্ত এবং কেরিয়ারের চ্যালেঞ্জও তুলে ধরে। সলমন ও আমিরের কথোপকথন অনেকটাই স্মৃতিকাতর, যেখানে তাদের পুরনো বন্ধুত্ত্ব, পেশাগত সমঝোতা এবং ব্যক্তিগত জীবন–এর কিছু গল্প উঠে আসে।
আমির খান উল্লেখ করেছেন, তিনি প্রথম আলাপে সলমনকে প্রথমে অপছন্দ করতেন। পরে ধীরে ধীরে তাঁদের বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠ হয়। সলমন খানের হালকা মেজাজ, হাস্যরস এবং গল্প বলার ধরনও পুরো পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। তাঁদের মুহূর্তের মূল নির্যাস ছিল হাসি, আন্তরিকতা এবং অপ্রত্যাশিত সব কথার ককটেল।
টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কল–এর মোট আটটি পর্ব আসছে। পরবর্তী পর্বে অতিথি থাকবেন আলিয়া ভাট এবং বরুণ ধাওয়ান। আরও যে সেলিব্রিটি সিক্রেট ফাঁস করবে এই শো, তা বলাই বাহুল্য। এখন থেকেই নেটপাড়ার বাসিন্দারা বলাবলি শুরু করেছেন, এই শোয়ের প্রতিটি পর্ব নতুন আলো, নতুন চটুল মুহূর্ত এবং নতুন সব খবরের শিরোনাম দেবে।
