সংবাদসংস্থা মুম্বই: 

উইম্বলডনে ছকভাঙা নীনা

ক্রিস্প ব্লেজার, প্যাস্টেল পোলো ড্রেস বা লিনেন স্যুট ছাড়া উইম্বলডনে স্টাইল স্টেটমেন্ট করা যায় না—এই পুরনো ধারণাকে একেবারে উড়িয়ে দিলেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা! লন্ডনের কড়া-মিঠে রোদে বিশ্ববিখ্যাত উইম্বলডন টুর্নামেন্ট দেখতে যখন প্রায় সকলেই টুইড ব্লেজার আর মিউটেড শেডের কোর্টস ওয়ারে মগ্ন, তখন নীনা গুপ্তা হাজির হলেন স্নিগ্ধ সাদা সাঙ্গানেরি ছাপার সুতির শাড়িতে, যার মধ্যে ছিল হালকা গোলাপি রোজ প্রিন্ট। নরম, হাওয়ায় ভাসা সেই শাড়ি যেন ভারতীয় ঐতিহ্যকে গ্লোবাল মঞ্চে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরল। শাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করিয়ে তিনি পরেছিলেন একটি কনটেম্পোরারি হাল্টার-নেক ব্লাউজ, সঙ্গে ক্লাসিক ব্ল্যাক সানগ্লাস। ফলাফল? একেবারে কসমোপলিটন ঝলক, কোনও ডিজাইনার গাউনের থেকে এক ইঞ্চিও কম নয়!

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই লুক নিয়ে চলছে প্রশংসার বন্যা।  প্রসঙ্গত, জানিক সিনারের কাছে উইম্বলডন সেমিফাইনালে অসহায় আত্মসমর্পণ করলেও থামতে রাজি নন ৩৮ বছরের নোভাক জকোভিচ। জোর গলায় জানাচ্ছেন ২০২৬ উইম্বলডনেও খেলতে চান। খেলা শেষে জকোভিচ বলেছেন, ‘খারাপ লাগছে। তবে আশা করছি এটাই আমার সেন্টার কোর্টে শেষ ম্যাচ নয়। এখনই অবসরের পরিকল্পনা নেই। আমি আরও অন্তত একবার উইম্বলডনে ফিরে আসবই।’ 

 


আরও পড়ুন: শাহিদ কাপুরের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন? অভিনেতা কি আদৌ কথা বলেন? মুখ খুললেন সৎ মা সুপ্রিয়া পাঠক

 

 

প্রয়াত কোট্টা শ্রীনিবাস রাও

দীর্ঘ রোগভোগের পর প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান তেলুগু চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কোট্টা শ্রীনিবাস রাও। ৮৩তম জন্মদিনের মাত্র দু’দিন পর, রবিবার ভোররাতে হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসের ফিল্মনগরের নিজ বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি শিল্পী। 
অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণ জেলার কঙ্কিপাডুতে জন্ম কোট্টার। ১৯৭৮ সালে ‘প্রাণম খরিদু’ ছবির মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর অভিনয়জীবন। এরপর চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয় করেন ৭৫০টিরও বেশি ছবিতে—তেলুগু, তামিল, কন্নড় ও হিন্দি ভাষায়। কখনও মঞ্চ মাতানো খলনায়ক, তো কখনও হৃদয়ছোঁয়া চরিত্রাভিনেতা—ভিন্নধর্মী চরিত্রে তাঁর মুন্সিয়ানা তাঁকে করে তোলে দক্ষিণী সিনেমার এক অবিচ্ছেদ্য স্তম্ভ।

 


তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে ‘আহা না পেল্লান্তা!’, ‘প্রতিঘাতনা’, ‘খৈদি নম্বর ৭৮৬’, ‘শিভা’ এবং ‘যমালীলা’। অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাঁকে প্রদান করা হয় পদ্মশ্রী সম্মানে। পাশাপাশি পেয়েছেন ৯টি নন্দী অ্যাওয়ার্ডও।

অভিনয়ের পাশাপাশি ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত বিজেপির টিকিটে বিজয়ওয়াড়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন কোট্টা শ্রীনিবাস রাও। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তেলুগু চলচ্চিত্র জগত। সহ-শিল্পী, পরিচালক ও অনুরাগীদের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে আসছে শ্রদ্ধার্ঘ্য।

 

 

 

সম্পর্কে জড়ালেন এলি? 

ইনফ্লুয়েন্সার আশীষ চাঞ্চলানি আর অভিনেত্রী এলি এব্রামের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এখন জ্বলছে রীতিমতো রোম্যান্সের আগুন! শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫—জুটি শেয়ার করলেন একটি রহস্যময় অথচ মনগলানো ছবি, সঙ্গে ক্যাপশন: “অবশেষে” আর একটি লাল হৃদয়ের ইমোজি। ব্যস, তাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের গুঞ্জনে আগুন!

 

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এলিকে কোলে তুলে ধরে আছেন আশীষ, এলির হাতে ফুলের তোড়া। পেছনে ভিক্টোরিয়ান স্টাইলে তৈরি এক প্রাচীন ব্রিজ, যার নীচে বয়ে যাচ্ছে পান্নারঙা জল। ছবিটা যেন কোনও সিনেমার ক্লাইম্যাক্স! এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়তেই সেলিব্রিটি থেকে নেটিজেন—সবাই রীতিমতো উত্তেজিত।
পুলকিত সম্রাট কমেন্ট করেছেন: “শুভেচ্ছা!!” মুনাওয়ার ফারুকি মজা করে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন: “সিনেমার প্রিমিয়ারে যাওয়ার ফলাফল” 
অন্যদিকে সায়নী গুপ্তর সহজ শুভেচ্ছা: “অভিনন্দন”  এখন প্রশ্ন একটাই—এটা কি প্রেমের ঘোষণা, না নতুন কোনও প্রজেক্টের টিজার?
গত ফেব্রুয়ারি থেকেই এই দু’জনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে চলছে চর্চা। তারপর থেকে একাধিক পাবলিক ইভেন্টে দেখা গেছে তাঁদের, কিন্তু কেউই কিছু খোলসা করেননি।

তবে এবার “অবশেষে”–এর ইঙ্গিত কি সত্যিই ‘সিলমোহর’ দিল এক নতুন বলিউড কাপলের জন্মে? না কি এই জুটি শুধু অনস্ক্রিন রোমান্সের ভাগীদার? নেটিজেনদের উত্তর একটাই—“দয়া করে সবটা বলুন!” 
এখন শুধু সময় বলবে, এ ছবি প্রেম না প্রচার?