গভীর রাতে টলিউড অভিনেত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ! শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল অজ্ঞাত পরিচয়ের চার ব্যক্তির উপরে। বুধবার মাঝরাতে ঠিক কী হয়েছিল অভিনেত্রীর সঙ্গে? আজকাল ডট ইন-এর কাছে মুখ খুললেন সেই অভিনেত্রী। আকাশ আট-এর 'পুলিশ ফাইল'-এ শেষ দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সরকারকে। বুধবার গভীর রাতে শুটিং ফ্লোর থেকেই ফিরছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল অভিনেত্রীর চার বন্ধুও।
রাত দুটো নাগাদ যাদবপুরের সুলেখা মোড়ের কাছে একটি চায়ের দোকানে এসে দাঁড়ান অভিনেত্রী ও তাঁর চার পুরুষ বন্ধু। এরপর সেখানে চা খেয়ে অনলাইনে খাবার অর্ডার দেন তাঁরা। তখন রাত তিনটে। ঠিক সেই সময় একটি গাড়ি পাশ কাটিয়ে বেরোয় তাঁদের। গাড়ির মধ্যে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি অভিনেত্রীর দিকে ছুড়ে দেন অশালীন মন্তব্য। অচেনা ব্যক্তির থেকে হঠাৎ এমন মন্তব্য আসায় প্রথমে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ঐন্দ্রিলা। পরে গাড়ি থামিয়ে আবারও অশালীন মন্তব্যের সঙ্গে এবার অশালীন ইঙ্গিত দেন চারজনের ওই দলটি।
আরও পড়ুন: শুরুর সপ্তাহেই বাজিমাত 'রাণী ভবানী' ও 'দাদামণি'র! পুরনো মেগাকে টেক্কা দিয়ে প্রথম স্থান দখল করল কে?
এই ঘটনার পর আওয়াজ তোলেন অভিনেত্রীর চার বন্ধু। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে আসেন চার ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে থেকে দু'জনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলতে থাকে অভিনেত্রীর বন্ধুদের। কথা কাটাকাটিতেই থামে না। দুই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি গায়ে হাত তোলেন অভিনেত্রীর বন্ধুদের। সঙ্গে ঐন্দ্রিলাকেও মারধর করেন তাঁরা। এমনকী, শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করেন।
ঐন্দ্রিলার কথায়, "আমরা ভদ্রভাবে কথা বলছিলাম ওঁদের সঙ্গে। কিন্তু ওঁরা কিছুতেই নিজেদের আচরণ ঠিক করছিলেন না। আমার গায়ে হাত তোলার পরেও থামেননি। শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তখন আমার বন্ধুরা প্রতিবাদ করে ওঠে। এরপর পুলিশের গাড়ি পেট্রোলিং-এ আসে। তখন এই ঘটনা দেখতে পেয়ে ওঁদের থানায় নিয়ে যান। সমানে ওঁরা হুমকি দিতে থাকে, যে একবার থানা থেকে বেরলে আমাদের অবস্থা খারাপ করে দেবে। আমায় অ্যাসিড ছুড়ে মারার হুমকিও দেন।"
আরও পড়ুন: 'অনুপমা'র হাত ধরে ছোটপর্দায় ফিরছেন রণিত রায়, মৃত্যুর তিন বছর পর মঞ্চে ফিরছেন সিধু মুসেওয়ালা?
অভিনেত্রী আরও বলেন, "থানায় গিয়ে প্রাথমিকভাবে দুপক্ষকে বিষয়টা মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলে পুলিশ। কিন্তু আমরা সেটা চাইনি। এরপর ওঁদের পরিবারের লোকজন এসে খুব কাকুতি মিনতি করেন। তখন একবার ভাবি, বিষয়টা কথা বলে যদি মেটানো সম্ভব হয়! কিন্তু ওই দুই ব্যক্তির আচরণ তখনও একইরকম। কর্মরত পুলিশকে পর্যন্ত হুমকি দিতে ছাড়ছেন না ওঁরা। এরপর আর কোনওকিছু ভাবতেই পারিনি। এফআইআর দায়ের করি। ততক্ষণে ভোর হয়ে যায়।"
ঐন্দ্রিলার কথায়, "ওঁরা পাল্টা আমার বন্ধুদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। যদিও আমরা লড়তে প্রস্তুত। অন্যায়কে এভাবে মুখ বুজে মেনে নেওয়া যায় না। মেয়েরা তো কোথাও নিরাপদ নয়! এই শহরের কোথাও শান্তিতে থাকাই যাবে না? কী করে সমাজ চলবে? আমি এর শেষ দেখতে চাই।"
দু'তরফেই এফআইআর দায়ের করার পর বিপক্ষের আইনজীবীর সঙ্গে আজকাল ডট ইন-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তিনি এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ, বলে জানান।
