বাংলার ছোটপর্দার বেশ পরিচিত মুখ অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য। ‘সারেগামাপা’ থেকে শুরু করে ‘কথা’ ধারাবাহিকে ‘অভি’ চরিত্রে তার অভিনয় দর্শকের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। তবে সম্প্রতি অভিনেতাকে নিয়ে বিতর্কের দানা বেঁধেছে। কিছুদিন আগে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে এক নারীর সঙ্গে ভিডিও কলে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গিয়েছে সাএক ব্যক্তিকে। ওই ব্যক্তি নাকি আদতে সাহেব ভট্টাচার্য -এমনই দাবি তুলছে নেটিজেনদের একাংশ! আর তারপরেই ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। কেউ কেউ যেমন সরাসরি সমালোচনা করছেন। আবার কেউ বলছেন, এটি মোটেই সাহবে ভট্টাচার্য নয়, বরং কৃত্তিম মেধা (এআই) প্রযুক্তির অপব্যবহার। কারণ এআই এবং ডিপফেক প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব সহজেই এরকম বাস্তবসম্মত ভিডিও তৈরি করা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, সাহেবের ক্ষেত্রেও হয়তো এরকম কিছু ঘটেছে।
এতদিন পর্যন্ত এই নিয়ে সাহেব কোনও মন্তব্য না করলেও এবার মুখ খুললেন। দৃঢ়ভাবে জানালেন, তিনি মোটেই ওই ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি নন। সম্পূর্ণ কৃত্তিম মেধা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেই ভিডিও। এককথায়, ‘সম্পূর্ণ ভুয়ো!’ আরও জানান, ইতিমধ্যেই তিনি কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানিয়েছেন। তদন্ত চলছে এবং যাঁরা এই 'ষড়যন্ত্র'-এর নেপথ্যে রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তা কেন তাঁর নাম জড়াল এরকম ঘটনায়? অভিনেতার কথায় -“গত ২০ বছর ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। যেমন বহু মানুষের ভালবাসা পেয়েছে, আশীর্বাদ পেয়েছি তেমন উল্টোটাও পেয়েছি। আমি প্রত্যম নই, যখনই কেউ ভালভাবে এগোনোর চেষ্টা করে তাঁকে টেনে নামাতে চেষ্টা করা হয়। আগেও বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে এরকম হয়েছে। একে প্রযুক্তির অপব্যবহার ছাড়া আর কী বলব! আমাদের দুর্ভাগ্য! তবে এসব করে লাভ হবে না। আমার কর্মক্ষেত্রে এবং ব্যক্তিগত জীবন -কোথাওএতটুকুও ছাপ ফেলেনি এই ঘটনা! আমি সস্তার প্রচার কোনওদিনও চাইনি বলে এই বিষয়ে মুখ খুলিনি। আজও কেবল এইটুকুই বলতে পারলাম কারণ পুলিশি তদন্ত চলছে। এর থেকে বেশি কিছু বলা আমার বারণ। তবে হ্যাঁ, অপরাধীরা শাস্তি পাবে, খুব দ্রুত ধরা পড়বে। পুলিশের তরফে আমাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে,আমি দু’বার লালবাজারে গিয়েছি। এসব যারা করে, তারা ভুলে যায় আজকের দিনে এসব করে পার পাওয়া যায় না। দ্রুত ধরা ফেলা হয়। আবার জোর গলায় বলছি, যারা এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবেই!”
