বলিউডে তারকাদের মধ্যে প্রেম-বিচ্ছেদ নতুন কিছু নয়। তবে হৃতিকের প্রেমিকা সাবা আজাদ আর তাঁর প্রাক্তন ইমাদ শাহর সম্পর্কের গল্পটা একেবারে আলাদা। ২০২০ সালে সম্পর্ক ভেঙেছে সাবা-ইমাদের, কিন্তু শেষ হয়নি মেলামেশা, বন্ধন! উল্টে তাঁদের সেই 'বিচ্ছেদ'ই সেটাই খুলে দিয়েছে এক নতুন দিগন্ত—যেখানে প্রেম নেই, আছে আরও গভীর বন্ধুত্ব, আত্মীয়তার মতো টান।
এই সম্পর্ক নিয়ে নাসির-পুত্র
ইমাদ শাহ স্পষ্ট জানালেন, তাঁদের বিচ্ছেদটা কখনও নাটকীয় ছিল না। তাঁর ভাষায়, “যেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের সম্পর্ক শেষ হল, সেদিনও মনে হচ্ছিল না বিদায়। বরং একটা বিবর্তন, একটা নতুন রূপ। হৃদয় ভাঙার মতো কিছুই ছিল না।”
সাবার মতে, ভালবাসা হারায় না। “যদি কেউ খারাপ ব্যবহার না করে, তবে ভালবাসা কীভাবে মুছে যায়? সেটা অন্য রূপ নেয়—একটা সুন্দর প্লেটোনিক বন্ধুত্ব, যেখানে দু’জন দু’জনের পাশে সব সময় থাকবে,” বললেন তিনি।
তাঁর কাছে ইমাদ শুধুই প্রাক্তন প্রেমিক নন, বরং পরিবার। “আমরা স্পষ্ট ছিলাম—আজীবন বন্ধু থাকব, একসঙ্গে বুড়ো হব বন্ধু হিসেবে। ইমাদকে হারানোর প্রশ্নই ওঠে না,” যোগ করলেন সাবা।
ব্রেকআপের পর সম্পর্ক ‘আরও ভাল’ মত দু’জনেরই। সম্পর্ক ভাঙার পর তাঁদের সমীকরণ আরও সহজ, আরও সুন্দর হয়েছে। ইমাদ মজা করে বললেন, “আমরা প্রায়ই হাসাহাসি করি—বিচ্ছেদের পর আমাদের সম্পর্ক আরও ভাল হয়েছে।” সাবাও একমত—“অনেক ভাল। পরস্পরকে বিচার করার চাপ নেই, একে অপরের প্রতি আরও সহনশীল হয়েছি।”
ইমাদের মতে, এটা যেন একটা ফিল্টার—“ভাল অংশগুলো রইল, খারাপগুলো ঝরে গেল।”
অস্বস্তি নয়, স্বাভাবিকতা
সাবার দাবি, সম্পর্ক বদলানোর মুহূর্তে এক সেকেন্ডের জন্যও অস্বস্তি আসেনি। “সবকিছু এতটাই স্বাভাবিক ছিল। এটা সবার পাওয়া উচিত—একটা নিঃশর্ত সমর্থন আর পরিবারসুলভ বন্ধুত্ব,” সাবা বলেন। ইমাদও যোগ করেন, এই উষ্ণতার উৎস একসঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেওয়া।
আজ সাবা নতুন সম্পর্কে। হৃতিক রোশনের সঙ্গেই এখন তাঁর পথচলা। ২০২২ সালে করণ জোহরের ৫০তম জন্মদিনে তাঁরা প্রকাশ্যে এলেন। তারপর থেকে হৃতিকের পারিবারিক অনুষ্ঠানে সাবার উপস্থিতি নিয়মিত। হৃতিকের দুই ছেলে হৃধান-হ্রেহানের সঙ্গেও তৈরি হয়েছে তাঁর সহজ সম্পর্ক।
প্রেম শেষ হলেও, সম্পর্কটা থেকে যায় অন্য রূপে—সাবা-ইমাদের সম্পর্কের গল্পই প্রমাণ করে দেয়, বন্ধুত্বই শেষমেশ সবকিছুর সবচেয়ে টেকসই বাঁধন।
