২১ ডিসেম্বর, রবিবার ৩৬ বছরে পা দিলেন বলিউড তারকা তমন্না ভাটিয়া। এই বিশেষ দিনটি তিনি উদ্যাপন করলেন কাছের বন্ধুদের সঙ্গে, অনেকটা ঘরোয়া কিন্তু আনন্দে ভরপুর পরিবেশে। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুভেদ লোহিয়া ইনস্টাগ্রামে জন্মদিনের কয়েকটি ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে তমন্নাকে জানালেন আবেগমাখা শুভেচ্ছা। সেই ছবিগুলোতে দেখা গিয়েছে, তমন্না হাসিমুখে পোজ দিচ্ছেন বন্ধু সুভেদ ও অভিনেত্রী ম্রুণাল ঠাকুরের সঙ্গে। ওই জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন তমন্নার ‘ভি শান্তারাম’ ছবির সহ-অভিনেতা সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীও। মোট কথা, প্রিয় মানুষদের ভালবাসায় ভরেই কাটল তমন্নার জন্মদিনের রাত।

পোস্টে সুভেদ লিখেছেন, “শুভ জন্মদিন আমার প্রিয় তমন্না। তোমার এই বিশেষ দিনে বলতে চাই, জীবনে তোমাকে পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের। শুধু সবার প্রিয় তারকা হিসেবেই নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও তুমি এক দারুণ মানুষের পরিচয় দিয়েছ -উষ্ণ, যত্নশীল আর নির্ভেজাল এক ব্যক্তিত্বের । তোমার সৌজন্যবোধ, গঠনমূলক মনোভাব আর শক্তপোক্ত মানসিকতা প্রতিদিনই অনুপ্রেরণা দেয়।” তিনি আরও যোগ করেন, “এই বছরটা তোমার জীবনে আনুক সুস্থতা, শান্তি আর অসীম আনন্দ। যা কিছু করছো তা আলোর পথেই এগোক, আর জীবনের প্রতিটি স্বপ্ন পূরণ হোক। তোমার প্রাপ্য ভালবাসা, হাসি, সৃজনশীলতা আর সাফল্য সবই তোমার জীবনে আরও বাড়ুক।”
এদিকে কাজের দিক থেকেও তমন্না বেশ ব্যস্ত। সম্প্রতি তিনি অজয় দেবগণ ও রীতেশ দেশমুখ অভিনীত ‘রেইড ২’-এ বিশেষ ডান্স নম্বরে দেখা দিয়েছেন। পাশাপাশি ‘ওদেলা ২’-এও অভিনয় করেছেন। সামনে রয়েছে বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত ‘ও রোমিও’, যেখানে তাঁর বিপরীতে রয়েছেন শাহিদ কাপুর। এছাড়া সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীর সঙ্গে তাঁর ‘ভি শান্তারাম’ মুক্তির অপেক্ষায়, যা ২০২৬ সালে প্রেক্ষাগৃহে আসার কথা।
সব মিলিয়ে বন্ধুদের ভালবাসা, সহকর্মীদের শুভেচ্ছা আর কাজের ব্যস্ততার মধ্যেই জীবনের আরেকটি বছর শুরু করলেন তমন্না। খুশিতে, উচ্ছ্বাসে আর নতুন আশা নিয়ে।
প্রসঙ্গত, ‘বাহুবলী’ ছবি খ্যাত এই তারকা-অভিনেত্রী গত কিছুদিন ধরে তাঁর শারীরিক রূপান্তর নিয়ে খবরের শিরোনামে। কেউ বলছেন, তামান্না নাকি ওজন কমাতে ‘ওজেম্পিক’ ওষুধের সাহায্য নিয়েছেন, কেউ আবার তাঁর নতুন লুকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।সম্প্রতি, দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই সমস্ত জল্পনা-সমালোচনার জবাব দিয়েছেন তমন্না। খোলামেলা ভাষায় তিনি বলেছেন, “আমি পনেরো বছর বয়স থেকে ক্যামেরার সামনে। দর্শকরা আমাকে বড় হতে দেখেছেন, তাই কিছুই লুকোনোর নেই। কুড়ির কোঠায় যতদিন পর্যন্ত বয়স ছিল, ততদিন শরীরের গঠন সবসময়ই স্লিম ছিল, সেটাই আমার ন্যাচারাল বডি টাইপ। এই চেহারা আমার কাছে নতুন কিছু নয়।”তবে কোভিডের সময় পরিস্থিতি বদলেছিল বলে জানান অভিনেত্রী। সেই সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা তাঁর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছিল। “কোভিডের সময় শরীরটা খুব খারাপভাবে রিঅ্যাক্ট করেছিল। আমি খেতে ভালবাসি- ভাত, রুটি, ডাল। ফলে আগের মতো ওজন রাখা মুশকিল হচ্ছিল,” বলেন তামান্না।
তবে ওজন বা আকৃতি নয়, তাঁর কাছে সবচেয়ে জরুরি আত্মবিশ্বাস। তামান্নার ভাষায়, “একটা সময় বুঝতে পারি, আমি যেন নিজের শরীরকে নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগছি। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবছি, ‘আমার টামি বাইরে বেরিয়ে আছে নাকি?’ তখন বুঝলাম, এইভাবে চলা যায় না। শরীরের পরিবর্তন তো জীবনেরই অংশ।”শুধু তাই নয়,আচমকা ফুলে যাওয়া বা হরমোনজনিত পরিবর্তন নিয়েও খোলাখুলি কথা বলেছেন তিনি। “প্রত্যেক নারীর শরীর সময়ের সঙ্গে বদলায়। আমারও তিরিশের গোড়ায় শরীর বদলেছে, কিন্তু আমার শরীরের খাঁজ নষ্ট হবে না, কারণ আমি সিন্ধি!”, হাসিমুখে উত্তর তাঁর।
