গত সপ্তাহের শেষ দিকে গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ধর্মেন্দ্র। তাঁকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। সদ্যই ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। তার পরদিনই সকাল সকাল মেজাজ হারাতে দেখা গেল সানি দেওলকে।
এদিন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রণামের ভঙ্গিতে ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছেন সানি দেওল। তারপরই মেজাজ হারিয়ে চিৎকার করে বলে ওঠেন, 'আপনাদের ঘরেও মা বাবা আছেন। সন্তান আছে। তারপরেও যেখানে পারেন, সেখানে এভাবে ঢুকে পড়েন, লজ্জা করে না?' গালিগালাজ করতেও শোনা যায় এদিন অভিনেতাকে।
প্রসঙ্গত সোমবার রাতে ধর্মেন্দ্রকে দেখতে হাসপাতালে একে একে আসেন শাহরুখ খান, আরিয়ান খান, গোবিন্দা, সলমন খান, প্রমুখ। অন্যদিকে তাঁর বাড়ির সামনে ব্যারিকেড বসানো হবে। আর এসবের মাঝে আচমকাই রটে যায় যে ধর্মেন্দ্র আর নেই। মারা গিয়েছেন। পরদিন সকালেও ঘটে একই ঘটনা। আর বারংবার বর্ষীয়ান অভিনেতার এভাবে ভুয়ো মৃত্যু খবর রটে যাওয়ায় তাঁর পরিবার যারপরনাই ক্ষুব্ধ হন মিডিয়ার উপর। মঙ্গলবার এষা দেওল এবং হেমা মালিনী, দু'জনেই ক্ষোভ উগরে বিবৃতি দিয়ে জানান এটি রীতিমত দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ। অসম্মানজনকও বটে। একই পোস্টে তাঁরা জানান অভিনেতা সুস্থ হয়ে উঠছেন, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। হেমা মালিনী লেখেন, 'যেটা ঘটছে যে ক্ষমার অযোগ্য। সংবাদমাধ্যম কীভাবে এভাবে ভুয়ো খবর ছড়াতে পারে তাও এমন একজনকে নিয়ে যিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন? এটা অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ। পরিবারকে সম্মান দিন। আমাদের প্রাইভেসি দিন।'
বুধবার, ১২ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন ধর্মেন্দ্র। এদিন তাঁকে দেখতে এসেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, অনিল শর্মা, গুড্ডু ধানোয়া প্রমুখ। হেমা মালিনীও স্বামী বাড়ি ফেরায় খানিক স্বস্তিতে। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, 'সময়টা আমার জন্য মোটেই সহজ ছিল না। ধরমজির স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই খুবই উদ্বেগে ছিলাম। ওঁর ছেলেমেয়েরা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। কিন্তু আমার তো দুর্বল হওয়ার, ভেঙে পড়ার জো ছিল না। আমার কাঁধেই তো অনেক দায়িত্ব। কিন্তু হ্যাঁ, আমি এখন খুশি যে উনি বাড়ি ফির এসেছেন। আমরা স্বস্তিতে রয়েছি যে উনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। ওঁর আপনজন, ভালবাসার মানুষদের কাছে থাকা প্রয়োজন এখন। বাকি সব কিছু তো এখন উপরওয়ালার হাতে। আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন।'
