বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা সম্প্রতি এক অনলাইন ব্র্যান্ডকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন। অভিযোগ, ওই সংস্থা তাঁর অনুমতি ছাড়াই ব্যক্তিগত ছবি নিজেদের ওয়েবসাইট ও প্রচারে ব্যবহার করেছে। বিষয়টি সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন সোনাক্ষী।
তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—কোনও শিল্পীর ছবি ব্যবহার করার আগে যথাযথ অনুমতি ও কপিরাইটের নিয়ম মানা জরুরি। তাঁর কথায়, “এভাবে ছবি ব্যবহার করা অনৈতিক এবং গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে আমার ছবি সরিয়ে নিন, নয়তো আমি সরাসরি নাম ধরে প্রকাশ্যে ডাকতে শুরু করব।”
সোনাক্ষী আরও বলেন, তিনি নিজে যখন কোনও ডিজাইনারের পোশাক বা ব্র্যান্ডের গয়না পরেন, তখন সে ব্র্যান্ডকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ট্যাগ করেন। কিন্তু উল্টো দিকে অনেক ব্র্যান্ড অভিনেতাদের ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করছে, যা একেবারেই উচিত নয়। তার মতে, শিল্পী ও ব্র্যান্ডের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকা উচিত, আর সেই শ্রদ্ধার মূল ভিত্তি হলো স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা।
আরও পড়ুন: বিরাট চমক 'বিগ বস ১৯'-এর ঘরে! তানিয়া মিত্তলের মুখোশ খুলে কোন অভিযোগ আনলেন প্রাক্তন প্রেমিক?
তিনি জানান, কিছু ওয়েবসাইট তার ছবি ব্যবহার করে প্রোডাক্ট বিক্রি করছে, অথচ সে সম্পর্কে তাকে কিছুই জানানো হয়নি। এমনকি মজার ছলে তিনি বলেছেন, যেসব ওয়েবসাইট তার ছবি ব্যবহার করেছে, তাদের কাছে তিনি ইনভয়েস পাঠাতে চান। তবে একইসঙ্গে সতর্ক করে দিয়েছেন, এবার যদি ছবি না তোলা হয় তবে তিনি কঠোর পদক্ষেপ নেবেন।
ভারতের বিনোদন জগতে এর আগেও একাধিক তারকা একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে আনুশকা শর্মা—অনেকেই অনুমতি ছাড়া ছবি ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন। সোনাক্ষীর এই প্রতিবাদও সেই ধারারই অংশ, তবে তিনি বিষয়টি আরও জোরালোভাবে তুলেছেন।
অভিনেত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট, এটি কেবল ব্যক্তিগত সম্মান রক্ষার বিষয় নয়, বরং ডিজিটাল যুগে সৃজনশীল শিল্পীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষারও প্রশ্ন। তিনি চান, সব ব্র্যান্ড যেন ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজে সতর্ক থাকে এবং শিল্পীর অনুমতি নিয়েই কনটেন্ট ব্যবহার করে।

অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবনে সোনাক্ষী এখন বেশ খুশি। মাঝেমধ্যেই স্বামী জাহির ইকবালের সঙ্গে হালকা মেজাজে ভিডিও শেয়ার করে তিনি অনুরাগীদের দের মুখে হাসি ফোটান। দীর্ঘ সাত বছরের প্রেমের পর গত বছর গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন সোনাক্ষী ও জাহির ইকবাল। জাহির ইকবালের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই নেটিজেনদের চর্চায় থাকেন বলি অভিনেত্রী। কিন্তু বারবার অভিনেত্রী নানা সাক্ষাৎকারে বুঝিয়েছেন যে তিনি ভাল আছেন। কিন্তু তারপরেও চর্চার জট কাটতে চায় না। এই জুটির বিয়ে নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়েছিল দুই পরিবারের মধ্যে। কিন্তু সব বাধা কাটিয়ে জয় হয়েছিল তাঁদের ভালবাসার। হিন্দু বা ইসলাম রীতি মেনে নয়, আইনি বিবাহ সেরেছিলেন সোনাক্ষী-জাহির।
সমাজমাধ্যমে এই জুটির খুনসুটি দেখতে দারুণ পছন্দ করেন অনুরাগীরাও। মাঝেমধ্যেই একে অপরকে মজার ছলে চমকে দেন। বিশেষত জাহিরের চটকদার বুদ্ধির কাছে হার মানতে বাধ্য হন সোনাক্ষী। তবে কম যান না অভিনেত্রীও। সুযোগ পেলে তিনিও জাহিরকে মজার ছলে ভয় দেখান। তবে কাজের ক্ষেত্রে ন্যায্যতা ও নীতির প্রশ্নে তিনি কোনও ছাড় দিতে নারাজ।
এক্ষেত্রে বলা যায়, সোনাক্ষী সিনহার স্পষ্ট বার্তা—শিল্পীর ছবি ব্যবহার করতে চাইলে আগে অনুমতি নিতে হবে। অন্যথায় তিনি প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানাতে দ্বিধা করবেন না। এই ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিল, ডিজিটাল দুনিয়ায় সৃজনশীলদের অধিকার রক্ষা করা আজ অত্যন্ত জরুরি।
