মুম্বইয়ের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক ভক্ত সমাগমের জন্য পরিচিত লালবাগচা রাজার মণ্ডপ। প্রায় ৯০ বছরের পুরনো এই পুজোয় আরাধ্য বিগ্রহকে 'ইচ্ছাপূরণকারী গণেশ' বলা হয়। তাঁর এক ঝলক দর্শনের জন্য ভক্তেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাদ যান না বলি তারকারাও। অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ-সলমন, কার্তিক আরিয়ানকেও দেখা যায় গণপতি দর্শন করতে।‌

 

 

এবার এই উৎসবে সামিল হয়েছিলেন জাহ্নবী কাপুরও। সঙ্গী ছিলেন তাঁর সহ-অভিনেতা সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। দু'জনের লালবাগচা দর্শনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দু'জনেরই খালি পা। ভিড়ের মধ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেল, শ্রীদেবীকন্যার পরনে লাল শাড়ি। নাকে মারাঠি স্টাইলের নথ। মহারাষ্ট্রের প্রাদেশিক সাজে আক্ষরিক অর্থেই জাহ্নবী যেন 'পরম সুন্দরী'। তবে ভিড়ের ঠেলায় এমন পরিস্থিতি হয় যে, পুলিশি ঘেরাটোপে থেকেও রেহাই পাননি অভিনেত্রী! শেষে সিদ্ধার্থই অভিনেত্রীকে আগলে রেখে মন্ডপের গর্ভে পৌঁছলেন। তখনও নায়িকার চোখেমুখে অস্বস্তির ছাপ স্পষ্ট। তবে তাঁকে আগলালেন সিদ্ধার্থ। এর আগেও ছবির প্রচারে এসে ভিড় থেকে বা পাপারাজ্জিদের ক্যামেরা থেকে জাহ্নবীকে আগলে রাখতে দেখা গিয়েছিল সিদ্ধার্থকে। এবারও নায়ক-নায়িকার অফস্ক্রিন রসায়ন দেখে চোখ সরাতে পারছেন না অনুরাগীরা।


প্রসঙ্গত, রাত পোহালেই ২৯ আগস্ট 'পরম সুন্দরী'র মুক্তি। গণপতি উৎসবের আবহে বলিউডের বক্স অফিস রেজাল্ট নিয়ে বরাবরই কৌতুহল থাকে সিনেমহলে। জাহ্নবী কাপুর এবং সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সিনেমার ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হচ্ছে না। আর সেই সিনেমা মুক্তির প্রাক্কালেই ধর্মে-কর্মে মতি অভিনেত্রীর। এর আগে বুধবারই শিরডি সাঁইবাবার মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন পর্দার জুটি। 

 

আরও পড়ুন: যমজ সন্তানের 'সারোগেট মা'কে খুশি করতে কত টাকা দিয়েছিলেন সানি লিওন? হিসেব জানলে মাথা ঘুরবে


ইতিমধ্যেই ছবির গানগুলি, ট্রেলার দর্শক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বলিউডের নতুন জুটির পর্দার রসায়ন দেখার জন্যে অপেক্ষায় দুই তারকার অনুরাগীরা। কিন্তু তার মধ্যেই বিতর্ক। 

 


ছবি মুক্তির আগেই বিতর্কের মুখে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও জাহ্নবী কাপুর। ছবির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার কয়েকদিন পর, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা একটি গির্জার ভেতরে অভিনেতাদের প্রেমের একটি দৃশ্য নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন এবং এটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত আনার অভিযোগ করেছেন।

 

তাঁদের দাবি, গির্জা একটি পবিত্র উপাসনালয়। বিশেষ করে, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সংবেদনশীল জায়গা। তাই এখানে অশ্লীল বিষয়বস্তুর মঞ্চ হিসেবে চিত্রিত করা উচিৎ নয়। এই চিত্রায়ন কেবল ধর্মীয় উপাসনা লয়ের আধ্যাত্মিক পবিত্রতাকেই অসম্মান করে না বরং ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের সংবেদনশীলতাকেও গভীর ভাবে আঘাত করেছে। তবে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সিবিএফসি-র দৃশ্যটি অপসারণ করতে বলেছে নির্মাতাদের। 

 

তাঁদের দাবি, যদি ছবিটি থেকে দৃশ্যটি অপসারণ না করা হয়, তাহলে বিতর্ক তুঙ্গে উঠবে। চিঠিতে ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার জন্য বিএনএসের অধীনে পরম সুন্দরীর প্রযোজক, পরিচালক এবং অভিনেতাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করার দাবিও জানানো হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ছবির টিমের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য প্রকাশ্যে আসেনি।