নিজস্ব সংবাদদাতা: বহুরূপী শিল্প এবং শিল্পীদের বাঁচিয়ে রাখতে উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার দারুন প্রয়াস 'বহুরূপী' মাস্ক বা মুখোশ। পরিচালকদ্বয় নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, বাংলার অন্যতম বড় ছবি হতে চলেছে 'বহুরূপী'।

 

শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এদিন আজকাল ডট ইন-কে বলেন, "এই ছবির আসল পরিচালক নন্দিতা রায়। অন্যান্য ছবিতে এমনিতেই আমি ৫০ শতাংশ কাজ করি। তবে এই ছবিতে বেশিরভাগটাই আমি অভিনেতা। দু'জন বিপরীতমুখী মানুষের লড়াই এই ছবিতে দেখানো হবে। সেই দুই চরিত্র আমি এবং আবির চট্টোপাধ্যায়।" নন্দিতা রায়ের কথায়, "এই ছবি আসলে শিবুকে দেওয়া আমার উপহার। আমার মনে হয় এই ছবিতে এখনও পর্যন্ত ওঁর অভিনয় সেরা। ২০০৮ সাল থেকে এই ছবি নিয়ে আমরা ভাবনা চিন্তা করেছি, কিন্তু সেই সময় এত বড় মাপের ছবি বানানো আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। অবশেষে এই ছবি বানিয়েছি আমরা এবং এইটুকু বলতে পারি বাংলার অন্যতম বড় ছবি হতে চলেছে 'বহুরূপী'। 

 

শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় আরও জানালেন, বহুরূপীরা শিল্প চর্চা করেন এবং বাস্তবের বহুরূপীরা আসলে মানুষের ক্ষতি করে, যাঁদের চেনা এখন বেশ কঠিন। তবে বহুরূপী শিল্প এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। একসময় বিভিন্ন বাড়ির সামনে এই শিল্পীদের কাজ দেখতে পেতেন মানুষরা তবে এখন তা আর প্রায় দেখা যায় না। দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় বহুরূপীদের মাধ্যমে নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যেহেতু তাঁদের গানের মাধ্যমে খুব সহজে মানুষের মন জয় করতে পারতেন, তাই স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁদের বড় অবদান আছে। এই ছবিতে প্রথমবার বহুরূপী শিল্পী ননীচোরা দাস বাউল অভিনয় করেছেন এবং বিশেষ গানের মাধ্যমে প্রথম প্লে ব্যাক করেছেন। এদিন যে বহুরূপী মুখোশ দর্শকের সামনে এল, তা বহু শিল্পীর হাতে তৈরি। এই ভাবেই হারিয়ে যাওয়া শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তাঁরা। 

 

'বহুরূপী' ছবিতে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং আবির চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায় এবং ঋতাভরী চক্রবর্তী। পুজোয় মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি।