আজকাল ওয়েবডেস্ক: টেলিভিশন কিংবা সিনেমা নয়, শুধুমাত্র একটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করে রাতারাতি সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন ১৯ বছরের তরুণী। নয়ের দশকে তাঁর লাস্যময়ী অভিব্যক্তিতে ঘায়েল হয়েছিলেন অনেকেই। সেই ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালি জারিওয়ালার জীবন মাত্র ৪২ বছর বয়সে থমকে গেল। শুক্রবার মধ্যরাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। 

সলমন খান এবং অক্ষয় কুমারের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে প্রথম ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শেফালি। কিন্তু তারপর বলিউডে তাঁকে নিয়মিত কাজ করতে দেখা যায়নি। হাতে গোনা কয়েকটি ছবিতে কাজ ছাড়া ২০১৯ সালে বিগ বস ১৩-এ অংশ নিয়েছিলেন তিনি। শোনা যায়, কেরিয়ার মধ্যগগনে থাকাকালীন মাঝে মাঝেই তিনি উধাও হয়ে যেতেন। 

একটি সাক্ষাৎকারে শেফালি নিজেই জানিয়েছিলেন তাঁর জীবনের কঠিন সংগ্রামের কথা। মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন শেফালি। মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকে সেই কঠিন অসুখের সঙ্গে গোপনে চলছিল তাঁর লড়াই।  তিনি বলেছিলেন, “পরীক্ষার সময় প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে থাকতাম। সেই থেকে খিঁচুনি শুরু হয়। ১৫ বছর থেকে আমার মৃগী রোগ। যার জন্য ডিপ্রেশনে ভুগতাম। আবার ডিপ্রেশন থেকেই খিঁচুনি বাড়ত। একটার সঙ্গে আরেকটা গভীরভাবে জড়িত।ক্লাসরুমে, ব্যাকস্টেজে, রাস্তায় বা কোথাও হঠাৎ করে আত্মবিশ্বাসের অভাব অনুভব করতাম।”

এই রোগের কারণেই ‘কাঁটা লাগা’র বিপুল সাফল্যের পরও বেশি কাজ করতে পারেননি শেফালি। কাজের মাঝে হঠাৎ খিঁচুনি হওয়ার ঝুঁকি থাকত। তাই নিজেকে আঘাত করার আশঙ্কায় বরাবর সতর্ক থাকতেন অভিনেত্রী। যদিও পরে চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।

মৃত্যুর ঠিক দু’দিন আগেও একটি ফটোশুট করেছিলেন শেফালি। তারপর আচমকা কীভাবে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে চর্চা চলছে সর্বত্র। অভিনেত্রীর আকস্মিক প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলিউডে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে একের পর এক বলিপাড়ার তারকারা সমাজমাধ্যমে শোকবার্তা জানিয়েছেন। শেফালির দীর্ঘদিনের বন্ধু গায়ক মিকা সিং সমাজ মাধ্যমে লেখেন, "আমি গভীরভাবে আহত ৷ মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছে ৷ আমাদের সকলের প্রিয় বন্ধু শেফালি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে ৷"