সংবাদ সংস্থা মুম্বই: কখনও এমন শুনেছেন কোনও ছবির জন্য একটি বড় শহরের কয়েকশো বিয়ের অনুষ্ঠান পিছিয়ে গিয়েছে? কতকটা বাধ্য হয়েই! চব্বিশ বছর আগে এমন অদ্ভুত কাণ্ড ঘটেছিল খোদ মুম্বইয়ের মতো শহরে। এবং এর নেপথ্যে থাকা প্রধান ‘কালপ্রিট’ ছিলেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি! ব্যাপারটায় জড়িত ছিলেন শাহরুখ খান-ও। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে ‘দেবদাস’ ছবির প্রধান চিত্রগ্রাহক বিনোদ প্রধান এই ঘটনার কথা ফাঁস করেছেন।
সেটা ২০০১ সাল। জোরকদমে শুটিং চলছে বনশালির ‘দেবদাস’ ছবির। মুখ্যভূমিকায় শাহরুখ খান, ঐশ্বর্য রাই এবং মাধুরী দীক্ষিত। মুম্বইয়ের এক জায়গায় চন্দ্রমুখীর কোঠার জন্য ১ কিমি জুড়ে বিরাট এক রাজকীয় সেট তৈরি করিয়েছিলেন বনশালি। সেখানে কোথায় কোথায় আলো বসবে, ক্যামেরার ফ্রেম-ইত্যাদি এসব বোঝা, দেখার জন্য নিজের কয়েকজন সহকারীকে নিয়ে সেই সেটে হাজির হয়েছিলেন বিনোদ। এরপর সেটের অযত্ন দেখে হাঁ হয়ে যান তিনি। কীভাবে এত বিশাল সেট আলো দিয়ে সাজাবেন তিনি? অগত্যা শুরু তো করতেই হবে। তাই হল। অত বড় সেটে যে পরিমাণ আলো লেগেছিল, তার জন্য মুম্বই শহরের প্রায় অধিকাংশ জেনারেটর এনে হাজির করিয়েছিলেন বিনোদ। কারণ শুটিং চলবে বহুদিন।
বিনোদ প্রধানের কথায়, “যার ফলে কী হল, এত জেনারেটর আটকে রইল অথচ বিয়েবাড়ি তো এই যন্ত্র ছাড়া অন্ধকার। কে জেনারেটর ছাড়া বিয়েবাড়ি অনুষ্ঠান আয়োজন করার ঝুঁকি নেবে? ফলে পরপর বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল হতে থাকল। পিছিয়ে গেল মাসখানেক অথবা বছরখানেকের জন্য!”
উল্লেখ্য, ৫০ কোটি বাজেটের ছিল ‘দেবদাস’। সেই সময়ে বলিউডের সবথেকে বেশি বাজেটের ছবি। ২০০২-এর কানস চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবির প্রদর্শিত হওয়ার পর ওই বছরেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘দেবদাস’।
