সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বলিউডের সবচেয়ে ট্র্যাজিক এবং জটিল স্টার-কিডদের মধ্যে অন্যতম তিনি। তিনি, প্রতীক বব্বর। বর্তমানে প্রতীক স্মিতা পাটিল। জন্মের আগেই মাতৃবিয়োগ। বড় হয়েছেন প্রচণ্ড আবেগ, লড়াই আর জটিলতার মধ্যে দিয়ে। আর এবার সামনে এল প্রতীকের আরও এক অজানা, অভূতপূর্ব অধ্যায়—যা জানলে স্তব্ধ হয়ে যাবেন আপনিও।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রতীক স্মিতা পাটিল। জানিয়েছেন, স্মৃতিলুপ্ত এক বিস্ময়কর তথ্য—স্মিতা পাটিলের মৃত্যুর পর তাঁকে দত্তক নিতে চেয়েছিলেন শাবানা আজমি ও জাভেদ আখতার! বলছিলেন, “আমি সম্প্রতি জানতে পেরেছি, মায়ের মৃত্যুর পরে শাবানাজি আর জাভেদ সাহেব আমাকে তাঁদের সন্তান হিসাবে দত্তক নিতে চেয়েছিলেন। একটু জটিল ছিল ব্যাপারটা। আমি তো তাহলে হতেই পারতাম ফারহানের সৎ ভাই!”—খানিক মজার সুরেই একথা বলেন তিনি। তবে কথার মাঝে আবেগও ভেসে ওঠে প্রতীকের গলায় “এত বছর পর এসব জানতে পারা সত্যিই আবেগময়...মনকেমন করা ।”
১৯৮৬ সালে জন্ম প্রতীকের। জন্ম দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রয়াত হন মা স্মিতা পাটিল, মাত্র ৩১ বছর বয়সে। সে সময় প্রতীক ছিলেন একেবারে সদ্যোজাত। রাজ বাব্বর তখনও ছিলেন নিজের প্রথম স্ত্রী নদীরা বাব্বরের সঙ্গে, কিন্তু ‘ভিজি পালকেঁ’ ছবির সেটে স্মিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় জড়িয়ে যান। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত জটিল ও বিতর্কিত। মায়ের মৃত্যুর পর প্রতীককে বড় করেন স্মিতার বাবা-মা। কিন্তু প্রতীক নিজেই জানান, সেই সময় তাঁকে দত্তক নেওয়ার জন্য শুরু হয়েছিল একাধিক পক্ষের টানাটানি। বলেন, “আমি তখন শুধু কাঁদছিলাম, কী হচ্ছে জানতাম না। অনেকেই আমায় দত্তক নিতে চাইছিলেন।”
স্মৃতির ঝাঁপি খুলে সেই সাক্ষাৎকারেই প্রতীক আরও জানান যে তিনি সম্প্রতি জেনেছেন, ‘মির্চ মসালা’ ছবির শুটিংয়ের সময়ই মা স্মিতা ছিলেন গর্ভবতী। অর্থাৎ, তাঁর জন্ম হয় ছবির মাঝেই! সেই ছবিতে স্মিতা পাটিলের অভিনয় আজও সিনেমার ইতিহাসে মাইলস্টোন। তবে মায়ের মৃত্যুর বহু বছর পরও প্রতীক আজও অনুভব করেন তাঁর ছায়া। জানালেন, “আমি আজও দেখতে পাই, কত ভালবাসা পান মা। শাবানাজি, জাভেদ সাহেব, অমিতজি (বচ্চন), নাসির সাহেব (নাসিরুদ্দিন শাহ), রত্না পাঠক শাহ— এঁরা সবাই আমাকে স্নেহ করেন। প্রয়াত শ্যাম বেনেগাল-ও করতেন স্নেহ। মায়ের বন্ধুরাই যেন আমার আশ্রয়ের ছায়া।”
