সংবাদ সংস্থা মুম্বই: এদিন বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স পেরোত ১০৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরেই যাঁকে নিয়ে সবথেকে চর্চা চলে বাঙালি বাড়িতে। সে দেশে হোক কিংবা বিদেশে। তিনি, সত্যজিৎ রায়। এদিন 'কহানি' ছবিখ্যাত জনপ্রিয় বলি পরিচালক সুজয় ঘোষ সমাজমাধ্যমে তুলে ধরলেন সত্যজিৎ থেকে পাওয়া তাঁর প্রথম প্রত্যাখ্যান পত্র! 


কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিশেষ আবেগময় স্মৃতি ভাগ করে নিলেন পরিচালক সুজয় ঘোষ। এক সাধারণ ‘না’-এর চিঠি, আর সেই চিঠির প্রাপক আজকের বলিউডের নামী পরিচালক। কিন্তু সেই ‘না’-টা আজও তাঁর জীবনের সবচেয়ে প্রিয় ‘হ্যাঁ’ হয়ে আছে। সুজয় লিখেছেন,  “একটা প্রত্যাখ্যানের গল্প বলি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাট চোকানোর পর, বেশিরভাগের মতো আমারও কোনও ধারণা ছিল না যে কী করব। শুধু জানতাম, ওঁর আঁকা, লেখা আর বলা গল্পগুলো আমি ভীষণ ভালবাসি। তাই তখনই ঠিক করে নিয়েছিলাম, এই আমার কম্পিউটার সায়েন্স ডিগ্রি গোল্লায় যাক...  সত্যজিৎ রায়কে একটি চিঠি লিখেছিলাম। সেখানে ওঁকে জানিয়েছিলাম যে আমি ওঁর যেকোনও কাজ করতে রাজি, শুধু যেন উনি আমায় আঁকা শেখান। একেবারে এলোমেলো আর বোকা একটা চিঠি। তবে উনি উত্তর দিয়েছিলেন!”

 

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">May 2, 2025

 

“এই ঘটনাটা ১৯৮৯ সালের। আজও আমি সেই চিঠিটা পড়ি। ওটাই আমার জীবনের প্রথম প্রত্যাখ্যান— আর সবচেয়ে প্রিয় চিঠি। এমন এক মানুষ, যিনি কোনও এক অজানা ছেলে ম্যানচেস্টারে বসে থাকা এক বোকা ছেলেকে সময় নিয়ে টাইপ করে উত্তর দিলেন— এটাই ওঁকে আমার চোখে এক মহানায়ক করে তুলেছিল! আজও একমাত্র উনিই আমার সবচেয়ে বড় নায়ক আর গল্প বলার একমাত্র শিক্ষক। শুভ জন্মদিন সত্যজিৎ রায়!”

 

'জানে জান' পরিচালকের কথায় “ভাবতেই অবাক লাগে, উনি আমার মতো এক অপরিচিতকে সময় নিয়ে টাইপ করে চিঠি লিখেছিলেন। আর নিজে সই-ও করেছিলেন! আমার কাছে সত্যজিৎ রায়ের ইংরেজিতে সই করা চিঠি আছে— এটা ভীষণ বিরল! উনি সাধারণত বাংলা হরফেই সই করতেন।”

 

সহজ কথায়, এই গল্প শুধুই প্রত্যাখ্যানের নয়। এটা একজন তরুণের মুগ্ধতা, একজন কিংবদন্তির ঔদার্য, আর সেই বীজ, যা একজন ভবিষ্যতের গল্পকারের মনে বপন করে দিয়েছিল অনুপ্রেরণার এক অদৃশ্য আগুন।