বলিউডের ‘হি-ম্যান’, হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম সুদর্শন এবং শক্তিশালী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আজ, ২৪ নভেম্বর, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। বয়স হয়েছিল ৮৯। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর কয়েকদিন আগে বাড়িতেই পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। কিন্তু আজ সকালে আচমকাই পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। সকালেই তাঁর জুহু বাসভবনে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে ও বের হতে দেখা যায়। যদিও পরিবার এখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেনি, তবুও দুপুরের মধ্যেই শ্মশানঘাটে পৌঁছে যান মেয়ে ঈশা দেওল ও স্ত্রী হেমা মালিনী। এরপর একে একে দেখা যায় অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান ও সলমন খানকে। শোলে-র সহ-লেখক এবং সলমনের বাবা সেলিম খানও সেখানে পৌঁছন, নিজের নব্বইতম জন্মদিনেই বন্ধুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।
১৯৯৮ সালে ধর্মেন্দ্র ও সলিম খানের পুরনো বন্ধুত্ব আবার ধরা পড়েছিল ‘প্যায়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া’-র শুটিং সেটে। সলমন খান, অরবাজ খান ও কাজল অভিনীত সেই ছবির এক মেকিং ভিডিওতে সে লিম খান স্মৃতিচারণা করে বলেন, “ধরমজি’র সঙ্গে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত পুরনো। সেই ১৯৫৮-৫৯ সাল থেকে। আমরা একই সময়ে মুম্বইয়ে এসেছিলাম, একই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। আমাদের মধ্যে বহু মিল রয়েছে। তিনি দারুণ একজন মানুষ। কোনও ছবিতে কাকে নেওয়া হবে ভাবলেই ধরমজি-ই প্রথম নাম হিসেবে আসে। তিনি আমাদের পরিবারেরই একজন, আমাদের কাছে যেন এক বড় ভাইয়ের মতো।”
আজ একদিকে সেলিম খানের ৯০তম জন্মদিন, অন্যদিকে তাঁর বহু দশকের সঙ্গীর পৃথিবী থেকে বিদায়, এক গভীর আবেগের মুহূর্ত। আর ধর্মেন্দ্রও প্রয়াত হলেন নিজের ৯০তম জন্মদিনের মাত্র দু’সপ্তাহ আগে।
সারা দেশের মতোই শোকাচ্ছন্ন দেওল পরিবার। বলিউডের আকাশে যে তারাটি ছ’দশকেরও বেশি সময় ধরে উজ্জ্বল ছিল, আজ তা নিভে গেল। তবে পরদায় তাঁর রেখে যাওয়া চরিত্র, উপস্থিতি, শক্তি, হাসি সবই আগামী প্রজন্মকে পথ দেখাবে। সময় যতই এগোবে, ধর্মেন্দ্র নামটি ততই রয়ে যাবে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসের পাতায়। অমলিন, অমর, অনন্য।
