সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বান্দ্রার এক বিলাসবহুল বহুতলের ১২ তলায় থাকেন সইফ। সেখানেই বুধবার গভীর রাতে হামলা চালায় দুষ্কৃতী। তাদের সঙ্গে হাতাহাতি বাধে বলি-তারকার। সেই সময় সইফের হাতে, ঘাড়ে, মেরুদণ্ডে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে, এমনই জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, সইফকে একাধিকবার কোপায় দুষ্কৃতী। তার পর সে পালায়। অভিনেতার শরীরে ছ’টি ক্ষত রয়েছে। দুষ্কৃতী পালিয়ে যাওয়ার পর মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় সইফকে। এইমুহূর্তে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। শুরু হয়েছে জোর পুলিশি তদন্ত। অভিনেতার হাতে, ঘাড়ে ও শিরদাঁড়ায় গভীর ছুরিকাঘাত ছিল। সইফের চিকিৎসক জানান, আঘাত বেশ গুরুতর ছিল। অস্ত্রোপচার হয়ে গিয়েছে। আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে সইফকে। তবে বর্তমানে তিনি বিপন্মুক্ত।
বাবার বিপদের খবর পাওয়ামাত্রই সইফ-করিনার বাড়িতে পৌঁছন অভিনেতার বড় ছেলে ইব্রাহিম আলি খান। রক্তাক্ত অবস্থায় তখন পড়ে সইফ। আবাসনে সইফের গাড়ি থাকলেও চালক না থাকায় গাড়ি বের করা যায়নি। আশপাশে ছিল না অন্য কোনও গাড়িও। উপায় না দেখে কোনওরকমে ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ বাবাকে অটো রিকশায় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি!
লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক নিতিন দাঙ্গে বলেছেন, “শিরদাঁড়ায় গুরুতর চোট রয়েছে সইফের। শিরদাঁড়ায় গেঁথে ছিল আড়াই ইঞ্চি ছুরি। ঘাড়ে ক্ষত রয়েছে ১০ সেন্টিমিটারের! অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই ছুরি বার করা হয়েছে। ছুরি আটকে থাকার ফলে শিরদাঁড়া থেকে সেরিব্রোস্পাইনাল তরল নির্গত হচ্ছিল। এর সঙ্গে তাঁর ঘাড় ও হাতেও গুরুতর আঘাত ছিল। ”
প্রসঙ্গত, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে গত কয়েকদিন ধরে সইফ-করিনার বাড়িতে মেঝে পালিশের কাজ চলছিল। সেই সুবাদে অভিনেতার ফ্ল্যাটে মানুষজনের যাতায়াত চলছিল। মেঝে পালিশের কাজে যুক্ত ছিলেন যাঁরা, তাঁদেরকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। আরও জানা গিয়েছে, সইফের আবাসন ও ফ্ল্যাটের সিসিটিভির ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখেও কোনও ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত করা যায়নি। এর অর্থ পরিষ্কার। দুষ্কৃতী অত্যন্ত সচেতন ছিল সমস্ত সিসিটিভির অবস্থান সম্পর্কে। পুলিশ সূত্রের খবর, যেভাবে গোটা বিষয়টি ঘটেছে তাতে সন্দেহ করা হচ্ছে সইফ-করিনার আবাসন অথবা ফ্ল্যাটের কোনও ব্যক্তির সাহায্য ছাড়া এটি সম্ভব নয়। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ডাকাতি করতেই সইফের ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিল ওই দুষ্কৃতী।
