শুক্রবার সকাল সকাল টলিউডে খুশির হাওয়া! সাতপাকে বাঁধা পড়লেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। না, শহর বা দেশের মাটিতে নয়। আটপৌরে লাল বেনারসি পরে গাঁটছড়া বাঁধেননি তিনি বরং সাদা গাউনেই বিদেশের মাটিতে মনের মানুষের সঙ্গে আংটি বদল এবং সিঁদুরদানের মাধ্যমে বিয়ে সেরে ফেললেন তিনি।জানা গিয়েছে, অভিনেত্রীর বরের নাম সুজিত বসু। পেশায় আইটি প্রফেশনাল। থাকেন আমেরিকার আটলান্টায়। তবে তিনি কলকাতারই ছেলে। বেড়াতে গিয়ে বিয়ে সেরে ফেলেন তাঁরা এদিন। যদিও কথা ছিল কলকাতাতেই সাত পাকে ঘোরার। কিন্তু বাস্তবটাও যে কখনও কখনও রূপকথার থেকেও আশ্চর্যের।
আমেরিকার লাস ভেগাসে বিয়ে করলেন তনুশ্রী চক্রবর্তী এবং সুজিত বসু। হিরের আংটি দিয়ে অভিনেত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সুজিত। মধুচন্দ্রিমার জন্য ফ্লোরিডায় উড়ে যাবেন তাঁরা। ‘বেটার হাফ’-এর জন্য এই ট্রিপ প্ল্যান করেছেন অভিনেত্রী। বিদেশের রাস্তাতেই নায়িকার সিঁথি রাঙিয়ে দেন সুজিত। এবার তনুশ্রীকে সমাজমাধ্যমে শুভেচ্ছা জানালেন তাঁর প্রাক্তন তথা অভিনেতা-রাজনীতিবিদ রুদ্রনীল ঘোষ।
একটা সময় সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। তনুশ্রী চক্রবর্তী-রুদ্রনীল ঘোষ। বিচ্ছেদেরও অনেক বছর পার। তনুশ্রী সদ্য বিয়ে সেরেছেন। এবার নবদম্পতির একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে রুদ্রনীল অল্প কথায় লিখকলেন, “তনুশ্রী-সুজিতকে বিয়ের অনেক শুভেচ্ছা। সুন্দর হোক তনুশ্রীর আগামী জীবন।” শুভেচ্ছাবার্তায় রুদ্র যোগ করেছেন একগোছা ফুলের বোকে এবং একগুচ্ছ লাল রঙের হৃদয়ের ইমোজি। অভিনেতা-রাজনীতিবিদের পোস্টেই প্রাক্তনের জন্য আন্তরিকতার সুর স্পষ্ট। অবশ্য রুদ্রের সেই পোস্টে একাধিক নেটিজেন তাঁকেও এবার বিয়েটা সেরে ফেলার অনুরোধ করেছেন। সেসব কমেন্টের অবশ্য পাল্টা কোনও জবাব দেননি ‘দি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’ ছবির এই অভিনেতা।

প্রসঙ্গত, তনুশ্রী চক্রবর্তীকে শেষবার ডিপ ফ্রিজ ছবিতে দেখা গিয়েছে। আবির চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন তাঁর সঙ্গে এই ছবিতে। সেই ছবির সাফল্যের মধ্যেই এল এই সুখবর। জানা গিয়েছে সুজিতের সঙ্গে এক বন্ধুর মাধ্যমে আলাপ অভিনেত্রীর। মাত্র পাঁচ মাসের আলাপেই তাঁরা জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন।
এইমুহূর্তে প্রেক্ষাগৃহে রমরমিয়ে চলছে 'দি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস'। ছবিতে অন্যতম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন তিনি সেই ছবির মুখ্য চরিত্রের অভিনেতারা কেউ একটা টাকাও পারিশ্রমিক নেননি। তাঁর কথায় “এরাই তো বাংলা সিনেমার ভবিষ্যৎ। তাই প্রকৃত অর্থে এদের মতো ট্যালেন্টদের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে আমি মনে করি। বিশেষ করে, বাংলা ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে শিক্ষিত পরিচালকরা যাঁরা কাজ করতে চান বা করছেন, তাঁদের পাশে অন্তত থাকা উচিত।”
