সংবাদ সংস্থা মুম্বই: রণধীর কাপুর মানেই সোজাসাপটা, রাখঢাকহীন কথা। আর তাঁর মেয়ে করিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুরকে নিয়ে তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য এক সময় বলিউডের অন্দরে ঝড় তুলেছিল। ২০১৬ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রণধীর স্পষ্ট জানিয়েছিলেন—এই সম্পর্কের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তিনি, এবং কোনওদিনও সঞ্জয়কে জামাই হিসেবে মেনে নিতে পারেননি।
রণধীরের কথায়, “সবাই জানেন আমরা কারা। আমরা কাপুর পরিবার। আমাদের নিজের পরিচয়, প্রতিভা, সম্মান আছে। আমরা কোনওদিন কারও টাকার জন্য দৌড়ইনি, ভবিষ্যতেও দৌড়ব না। আমাদের পরিবারে মেধা, খ্যাতি আর অর্থ—সবই আছে। আর সেটা আমাদের প্রাপ্য।”
প্রসঙ্গত, করিশ্মার সঙ্গে সঞ্জয় কাপুরের বিয়ে ঘিরে বারবার উঠেছিল প্রশ্ন—তিনি কি শুধুমাত্র ধনকুবের বলেই এই পাত্রকে বেছে নিয়েছিলেন? এই জল্পনার জবাবেই ছিল রণধীরের এই কড়া বার্তা। শুধু তাই নয়, সঞ্জয়ের স্বভাব নিয়েও ছিল তাঁর স্পষ্ট আপত্তি। “আমি কোনওদিন চাইনি করিশ্মা ওকে বিয়ে করুক। সে কোনওদিনই ওকে স্ত্রীর সম্মান দেয়নি। শুধু মিথ্যে কথা বলে গিয়েছে আর অন্য এক মহিলার সঙ্গে দিন কাটিয়েছে। গোটা দিল্লি জানে ও কেমন মানুষ। এর চেয়ে বেশি কিছু বলব না! ” মন্তব্য করেছিলেন রণধীর।
২০০৩ সালে বিয়ে করেছিলেন করিশ্মা কাপুর এবং সঞ্জয় কাপুর। দুই সন্তান—সামাইরা ও কিয়ানের জন্মের পরেও তিক্ততা কমেনি, বরং ২০১৪ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া রীতিমতো কাদা ছোড়াছুড়ির পর্যায়ে পৌঁছেছিল। একের পর এক অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে উত্তাল হয়েছিল বিন্দন দুনিয়া। শেষমেশ ২০১৬ সালে আইনি বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। ওই সময়েই করিশ্মার সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ১৪ কোটির বন্ড ও একটি হাউজ ট্রান্সফার করেছিলেন সঞ্জয়।
চিরোলটি মাসেই মৃত্যু হয়েছে সঞ্জয় কাপুরের। মৃত্যুকালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০,৩০০ কোটি টাকা! বিলেনিয়ার তালিকায় নাম উঠেছিল ২০২২ সালেই। তাঁর সংস্থা সোনা কমস্টার আজ ভারতের অন্যতম বৃহৎ অটোমোবাইল কম্পোনেন্ট কোম্পানি।
তবে যতই রাজত্ব গড়ে যান প্রাক্তন, রণধীর কাপুরের চোখে সঞ্জয় কাপুর ছিলেন না যোগ্য জামাই। কাপুর পরিবার যে শুধু স্টারডমেই নয়, আত্মসম্মানেও বড়—সেই বার্তাই দিয়ে গিয়েছেন তিনি, সোজাসাপটা ভাষায়।
