সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ‘কেশরী: চ্যাপ্টার ২’-এ রুদ্ধশ্বাস খলনায়ক চরিত্রের পর আবারও পর্দায় ফিরছেন আর মাধবন। তবে এবার চরিত্রে কোমলতা, সঙ্গে হালকা ভালবাসার ছোঁয়া। অভিনেতার আগামী রিলিজ ‘আপ জ্যায়সা কোই’-এর ট্রেলার ইতিমধ্যেই দর্শকদের কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। ওটিটি-তে মুক্তি পেতে চলা এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে রয়েছেন ফাতিমা সানা শেখ। পরিচালনায় সমীর আলি খান।
ছবির ট্রেলার একদিকে যতটা রোম্যান্টিক-রিয়্যাল, অন্যদিকে ততটাই নজর কাড়ছে মাধবনের চেহারার চমক—একদম তরতাজা, একেবারে যেন বছর দশেক আগের লুকে ফিরে এসেছেন তিনি! অনেকে ধরে নিচ্ছেন, মাধবেন এই তরতাজা চেহারার নেপথ্যে হাত রয়েছে বুঝি বুঝি ডি-এজিং প্রযুক্তির কেরামতি। অথচ শোনামাত্রই মাধবন বললেন—“বাজেট নেই ভাই!” ছবির ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্টে এ প্রসঙ্গ উঠতেই এক গাল হেসে মাধবন বলেন, “সবাই বলছে আমি ডি-এজিং করিয়েছি। কিন্তু আমার তেমন বাজেট নেই! এটা একেবারেই সত্যি নয়।”
তাহলে রহস্যটা কী?মাধবনের কথায়, ২০১৬ সালে যখন তিনি ‘শালা খরুশ’-এর জন্য ট্রেনিং শুরু করেন, তখন অনেক ডায়েটিশিয়ান আর ফিটনেস গুরুর কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু কারোর সঙ্গেই মানসিক মিল হয়নি। শেষে যেটা কাজ দিয়েছে, সেটা একদম সহজ — “আমি শুধু নিজের খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছিলাম। সেটাই সব বদলে দেয়।”
তবে ডি-এজিং নিয়ে এই খোঁচা কি ইন্ডাস্ট্রির বড় তারকাদের দিকে ইঙ্গিত? বলিউডে বহু তারকা ইতিমধ্যেই ডি-এজিং প্রযুক্তির সুবিধা নিয়েছেন। আমির খান খোলাখুলি স্বীকার করেছেন এই প্রযুক্তির সুবিধার কথা, বলেছিলেন— “আমি ৬০, কিন্তু এখন তো ভিএফএক্স আছে। আগে ১৮ বছরের চরিত্রে অভিনয় করতে হলে প্রস্থেটিকস রূপসজ্জার সাহায্য নিতে হত। এখন সেই কাজটা প্রযুক্তি করে দেয়।” সলমন খান-কে নিয়েও ইন্টারনেট জগতে বহু আলোচনা রয়েছে যে তিনিও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। যদিও সালমান কখনও এই প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।
‘আপ জ্যায়সা কোই’ মুক্তি পাচ্ছে ১১ জুলাই। ছবির ট্রেলারে ধরা পড়েছে এক অনন্য প্রেমের গল্প, যেখানে বয়স নয়, গুরুত্বপূর্ণ ‘মানিয়ে নেওয়া’র অভ্যেস। আর তার সঙ্গে রয়েছে একেবারে নতুন চেহারায় ঝকঝকে মাধবন, যিনি বলছেন— “ভিএফএক্স নয়, এটা শরীরচর্চা আর কঠোর নিয়মানুবর্তিতার ফসল।”
যেখানে ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই বয়স কমাতে প্রযুক্তির শর্টকাট নিচ্ছেন, সেখানে মাধবন হেঁটেছেন ক্লাসিক পথে। আর তাই হয়তো পর্দায় তাঁর এই ‘ফ্রেশ’ লুক এত স্বাভাবিক, এত বিশ্বাসযোগ্য।
