আজকাল ওয়েব ডেস্ক: দম বন্ধ করা অ্যাকশন, তারকাখচিত কাস্ট আর সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার দুর্দান্ত কামব্যাক—সব মিলিয়ে আসন্ন হলিউড-অ্যাকশন ছবি ‘হেডস অফ স্টেট’-এর ট্রেলার ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে দর্শকমনে। পাশাপাশি নেটপাড়াতেও।
এই স্পাই-অ্যাকশন থ্রিলারে, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ধরা দিয়েছেন এক তীক্ষ্ণ, ধুন্ধুমার এমআই৬ এজেন্ট নোয়েল বিসে-র চরিত্রে। তিনি দায়িত্ব পেয়েছেন এক আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের জাল ছিঁড়ে ফেলার, যেখানে দুনিয়ার শীর্ষনেতাদের জীবন হুমকির মুখে। প্রিয়াঙ্কার চরিত্রটি যেমন চতুর, তেমনই বেপরোয়া—ট্রেলারে তাকে দেখা যাচ্ছে মুখোমুখি লড়াইয়ে মাস্ক পরা একদল আততায়ীর সঙ্গে, আর তাদেরকে অনায়াসে কাবু করে ঘোষণা করছেন: “কোনও ব্যাকআপ আসছে না, তোমাদেরকেই নিজেকে বাঁচাতে হবে।”
একসঙ্গে প্রথমবার বড় পর্দায় হাজির হলেন হলিউডের দুই বিখ্যাত তারকা জন সিনা এবং ইদ্রিস অ্যালবা। জন সিনা অভিনয় করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ভূমিকায়, আর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর চরিত্রে আছেন ইদ্রিস এলবা। ট্রেলারের শুরুতেই দেখা যায়, এক বিমানে থাকা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট (জন সিনা) আর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (ইদ্রিস অ্যালবা) মাঝ আকাশে হামলার মুখে পড়েন। বিমান হামলার শিকার হওয়ার পর তাঁরা বুঝতে পারেন, এক বিশাল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার তারা। প্রাণে বাঁচলেও সামনে অপেক্ষা করছে আরও বড় বিপদ—আর সেই ধ্বংসের হাত থেকে বিশ্বকে বাঁচানোর দায় এখন এই দুই নেতার উপরেই। এহেন আবহেই তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে গল্পে হাজির হয় প্রিয়াঙ্কার চরিত্রটি। ভক্তদের ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ছবির পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
 
 ‘হেডস অফ স্টেট’-এর শ্যুটিং হয়েছে একাধিক দেশে—লন্ডনের পর লিভারপুলের সেন্ট জর্জ’স হলে, তারপর চেজ সিকোয়েন্সের জন্য ইটালির ত্রিয়েস্তে। বছরখানেক পর বেলগ্রেডে হয় অতিরিক্ত শ্যুটিং। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এই ছবির শুটিং ইউনিটের সঙ্গে যোগ দেন  যুক্ত হন ২০২৩-এ।
 
 এই অ্যাকশন-থ্রিলার মুক্তি পেতে চলেছে ২০২৫ সালের ২ জুলাই। তবে বড়পর্দায়, ওটিটি-তে। অ্যামাজন প্রাইম-এ।  প্রিয়াঙ্কা, ইদ্রিস এলবা এবং জন সিনা—এই তিন সুপারস্টারের কম্বিনেশন নিয়ে দর্শকদের উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে।
