সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ১২ জুন, ইংল্যান্ডে পোলো খেলার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুর। বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৩ বছর। আমিরশাহী থেকে ইংল্যান্ড—জীবনের শেষ খেলায় মাঠেই থেমে গেল তাঁর হৃদস্পন্দন। সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর তাঁর তৃতীয় স্ত্রী প্রিয়া সচদেব-এর একটি পুরনো সাক্ষাৎকার ফের উঠে এসেছে আলোচনায়। ‘কিন অ্যান্ড কাইন্ডেস’ নামের এক পডকাস্টে তাঁর কথোপকথনে প্রিয়া জানিয়েছিলেন—সঞ্জয়ের সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয়, সম্পর্কের শুরু, আর প্রাক্তন স্ত্রী করিশ্মা কাপুরের সঙ্গে তাঁর ‘অপ্রচলিত’ বৈবাহিক জীবন নিয়ে খোলামেলা বক্তব্য।
প্রিয়া বলেন, “তখন ও (সঞ্জয়) বিবাহিত ছিল। করিশ্মা ও তাঁদের সন্তানরা তখন মুম্বইয়ে থাকত, আর ওর ব্যবসা ছিল দিল্লিতে। সপ্তাহান্তে ও বাবা হয়ে দেখা করতে যেত। সেখানেই আমাদের বন্ধুত্ব শুরু হয়… পরে ওর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।” তিনি আরও বলেন, “ওঁদের সম্পর্কটা একেবারে সাধারণ ছিল না। কিন্তু সেই সম্পর্ক থেকে দু’টি অসাধারণ সন্তান এসেছে। আমরা ওদের খুব ভালবাসি। আজ আমরা সবাই মিলেমিশে একসঙ্গে একটা সুন্দর পরিবার।”
সঞ্জয়ের প্রথম বিয়ে হয়েছিল ডিজাইনার নন্দিতা মহতানির সঙ্গে ১৯৯৬ সালে। সেই সম্পর্ক চার বছরের মধ্যেই ভেঙে যায়। এরপর ২০০৩ সালে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বলি অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুরের সঙ্গে। তাঁদের দুই সন্তান—সামাইরা (২০০৫) ও কিয়ান (২০১০)।২০১৪ সালে এই দম্পতি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন, এবং ২০১৬-তে তাঁদের সেই বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। এরপর ২০১৭ সালে সঞ্জয় বিয়ে করেন প্রিয়া সচদেবকে। তাঁদের এক পুত্রসন্তান, আজারিয়াস।
সঞ্জয়ের মৃত্যুর কারণ শুরুতে হৃদরোগ বলে জানা গেলেও, পরে ফলাফলে উঠে আসে মারাত্মক মৌমাছির হুল ফোটানো থেকে এলার্জি জনিত শকে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যেতে পারে—এই সম্ভাবনাও। তবে, সঞ্জয়ের মৃত্যুর সঠিক কারণ সরকারি ভাবে এখনও জানানো হয়নি। ১২ জুন মৃত্যুর পর, দিল্লির লোধি রোড শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ২২ জুন তাজ প্যালেস হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় প্রার্থনাসভা।
