প্রয়াত শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুরের উইল এবং সম্পত্তি নিয়ে চলমান আইনি লড়াইয়ের মধ্যেই তাঁর বর্তমান স্ত্রী প্রিয়া সচদেব দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছেন যে অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুরের মেয়ের স্কুলের সম্পূর্ণ ফি পরিশোধ করা হয়েছে। করিশ্মা কাপুরের সন্তানদের পক্ষে আদালতে দাবি করেছিলেন যে দুই মাসের মোট ৯৫ লক্ষ টাকার ফি বকেয়া রয়েছে।

 


কিন্তু প্রিয়া সচদেবের আইনজীবী, এই অভিযোগকে 'সম্পূর্ণ ভুল' এবং 'তথ্যগতভাবে অসত্য' বলে খারিজ করে দেন। তিনি বিচারপতি জ্যোতি সিং-এর সামনে ৯৫ লক্ষ টাকা পরিশোধের রসিদ পেশ করে নিশ্চিত করেন যে করিশ্মার মেয়ের সেমেস্টারের ফি ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়ে গিয়েছে এবং পরবর্তী কিস্তি ডিসেম্বরে দেওয়ার কথা। 

 

 

তিনি আরও দাবি করেন যে সঞ্জয় কাপুরের মৃত্যুর পর থেকে প্রিয়া সচদেব নিজের উদ্যোগেই সন্তানদের সমস্ত শিক্ষা এবং জীবনধারণের খরচ বহন করে আসছেন। একই মামলায়, প্রিয়ার আইনজীবী সঞ্জয়ের মা রানী কাপুরের বিরুদ্ধে প্রয়াত শিল্পপতির সম্পদ লুকানোর অভিযোগকেও 'ভিত্তিহীন ও বেপরোয়া' বলে সমালোচনা করেছেন। 

 


প্রিয়ার আইনি দল আদালতকে জানিয়েছে যে তারা সম্পত্তির একটি বিস্তারিত তালিকা দাখিল করেছে এবং প্রতিটি লেনদেন তাতে নথিভুক্ত রয়েছে। তাঁরা জোর দিয়ে বলেছেন যে কোনও অর্থই বিদেশে সরানো হয়নি।

 

 

অন্যদিকে, সঞ্জয় কাপুরের বেতন সংক্রান্ত রানী কাপুরের অভিযোগের জবাবে প্রিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে সঞ্জয় কাপুরের বেতন ছিল ১০ কোটি টাকা, সঙ্গে ছিল এককালীন ৫০ কোটি টাকার বোনাস। টিডিএস হিসেবে ২৩.৫ কোটি টাকা কাটার পর হাতে পাওয়া ৩৬.৫ কোটি টাকার মধ্যে ২৮.৫ কোটি টাকা লন্ডনে স্থাবর সম্পত্তি কেনার জন্য খরচ করা হয়েছিল।

 


প্রকৃতপক্ষে, করিশ্মা কাপুরের সন্তান সামাইরা এবং কিয়ান তাঁদের প্রয়াত বাবার সম্পত্তিতে ভাগ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছে। তাঁদের আবেদনে তাঁরা অভিযোগ করেছে যে তাঁদের সৎ মা প্রিয়া সচদেব সঞ্জয়ের উইল জাল করেছেন। এছাড়া, প্রিয়া সচদেব যাতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সঞ্জয়ের কোনও সম্পদ হস্তান্তর বা পরিবর্তন করতে না পারেন, সেজন্যও সন্তানেরা একটি নতুন পিটিশন দাখিল করেছে। এই সম্পত্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত মামলায় করিশ্মা কাপুর নিজে সরাসরি জড়িত না থাকলেও তিনি আদালতে তাঁর দুই সন্তানের প্রতিনিধিত্ব করছেন।