সান বাংলার ‘রূপমতী’ ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা প্রাজ্ঞ দত্তকে। তাঁর চরিত্রের নাম বিষাণ কেতু। বিষাণ খোক্ষস দলের সেনাপতি। জাদুবলে সে করে ফেলতে পারে অনেক কিছুই। সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় এই রূপকথার কাহিনিতে এবার অন্য রূপে ধরা দিতে চলেছেন অভিনেতা। 

 


গল্পের নতুন মোড়ে রূপমতির স্বয়ম্বর সভায় এসে হাজির বিষাণ কেতু! তবে ছদ্মবেশে। রাক্ষসী রানী জটিলার পরামর্শে রাজকুমারের ছদ্মবেশ ধারণ করে সে। রূপমতীকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করার চেষ্টা করে বিষাণ কেতু। শেষমেশ রূপমতী কি পা দেবে এই ষড়যন্ত্রের জালে? সেটাই দেখার। এদিকে, রাজপুত্রের ছদ্মবেশে প্রাজ্ঞর লুক প্রকাশ্যে। গল্পের নতুন মোড়ে বিষাণ কেতুকে কি চিনতে পারবে রূপমতী? সেই চিন্তা দর্শকের মনে। 

 

 

শুধু এখানেই নয়, স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘রাজ রাজেশ্বরী রাণী ভবানী’তেও দেখা গিয়েছিল প্রাজ্ঞকে। ধারাবাহিকে তিনি বর্গী দস্যুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ভবানীকে চক্রান্ত করে বিপদে ফেলতে তৎপর হন তিনি। নেতিবাচক চরিত্রে দর্শকের মন জয় করেছেন তিনি। ছোটপর্দায় এভাবেই নিজেকে ভেঙে নতুন ভাবে তৈরি করে আরও এগিয়ে যেতে চান অভিনেতা।

 

 

‘রূপমতী’তে প্রাজ্ঞর লুকও দেখার মতো। কেশহীন মাথায় গজিয়ে উঠেছে দু’টি শিং। মুখ ভর্তি দাড়ি, কাজল দিয়ে আঁকা মোটা ভুরু। চোখে প্রতিহিংসা। পরনে কালো পোশাক। বড় বড় কান। হাতের নখও কালো। যেন শৈশবে পড়া রূপকথার কোনও চরিত্র। যে শিশু মনে সহজেই ভয়ের সঞ্চার করত।

 


শুধু ধারাবাহিকেই নয়, বড়পর্দাতেও দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন প্রাজ্ঞ। তাঁকে দেখা গিয়েছে শুভ্রজিৎ মিত্র পরিচালিত ‘দেবী চৌধুরাণী’তে। সেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে শ্রাবন্তী, সব্যসাচী চক্রবর্তী থেকে অর্জুন- কে নেই এই ছবিতে? এই তারকা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন তিনিও।
সেখানেও ছক ভেঙেছেন প্রাজ্ঞ। তিনি বলেন, “দেবী চৌধুরানীতে আমি শাওলিন মংক-এর চরিত্রে অভিনয় করেছি, যে কি না মার্শাল আর্টের বিশেষজ্ঞ। প্রথমেই আমাদের অধিনায়ক শুভ্রজিৎ মিত্রদাকে ধন্যবাদ দিতে চাই এই আকর্ষণীয় চরিত্রে আমাকে ভাবার জন্য। আমাদের প্রযোজক অ্যাডিটেড মোশন পিকচার্সকেও অনেক ধন্যবাদ। বুম্বাদা আর শ্রাবন্তীদিকে নিয়ে নতুন করে আর কীই বা বলব, ওঁরা সবসময়ই সৃষ্টিশীলতার অনুপ্রেরণা দিয়ে চলেছেন। আমাদের গোটা দল খুবই অনুপ্রাণিত আর মনোযোগী। জয় ভৈরবী!”

 


কিছুদিন আগেই পরিচালক শুভ্রজিতের সঙ্গে প্রাজ্ঞের কয়েকটি ছবি রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল ইন্সটাগ্রামে। দেখা গিয়েছিল দু’জনে বসে রয়েছেন সোফায়, সামনে রাখা এক ঝাঁক অস্ত্র। কী নেই সেখানে, তরবারি থেকে চাকু সবই রয়েছে। সেই পোস্টে পরিচালক লেখেন, “দেবী চৌধুরানী ছবির জন্য ধনুর্বেদ সংহিতার সাহায্য নেওয়া হবে ৷ এটিকে ভারতের প্রাচীন মার্শাল আর্টের আখর গ্রন্থ বলা যায় ৷ একইসঙ্গে থাকছে ভারতের নিজস্ব মার্শাল আর্ট রায়বেশে৷ আসল কথাটা হল, আমরা এসেছি যোদ্ধাদের ভূমি থেকে৷ যাকে অবদমিত করে রেখেছিল ঔপনিবেশিক শাসকরা৷ আমরা সেই যোদ্ধাদের আবার ফিরিয়ে আনব৷ গবেষণা ও প্রশিক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন গৌর প্রাজ্ঞ দত্ত।”

 


ধারাবাহিক থেকে বড়পর্দায়, আপাতত সবেতেই প্রাজ্ঞের অবাধ বিচরণ। এছাড়াও ‘রাপ্পা রায় ফুলস্টপ ডট কম’-এও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।