২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য-রাজনীতিতে বড় চমক। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ তৃণমূল ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিলেন অভিনেত্রী। 

 

২০১৯ সালে বিজেপিতে পা রেখে রাজীনীতি জীবনের ইনিংস শুরু করেছিলেন পার্নো। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বরাহনগর নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র তরফে তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছিল। তবে সেবারে বরানগরে তৎকালীন তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের কাছে ভোটে হেরেছিলেন অভিনেত্রী। পরাজয়ের পর আর সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি পার্নোকে । এদিন পার্নোকে পাশে বসিয়ে চন্দ্রিমা ভটাচার্য বলেন মহিলাদের উন্নয়নে তৃণমূলের সরকারেরযে যে কর্মসূচি, তার প্রতি আকৃষ্ট হয়েই তৃণমূলে যোগদান করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন পার্নো। অভিনেত্রীর সেই আবেদন গ্রহণ করেন মমতা। । মমতার নির্দেশের পরই পার্নোকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারপরেই শাসকদলে যোগদান পার্নোর।  চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের পরে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারও পার্নোকে তৃণমূল কংগ্রেসে স্বাগত জানান। তাঁর কথায়, “পার্টিতে তাঁকে স্বাগত।”

 

 

 

 

সবশেষে স্বল্প কথায় পার্নো বলেন, “নতুন পথের শুরু। বিজেপিতে যোগ দিয়ে যোগ দিয়ে ভেবেছিলাম বাংলার অবস্থা বদলাবে। কিন্তু, দেখলাম বিষয়টি তেমন নয়। তাই দিদির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগদান করলাম। জয় বাংলা!”

 


প্রসঙ্গত, ২০০৭-এ শুরু  পার্নোর অভিনয়জীবন। ৪০ টি ছবির পাশাপাশি একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিক এবং ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন পার্নো।