পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গিয়েছেন তিনি। তবু যেন রয়ে গিয়েছেন। স্মৃতিতে, যাপনে, মায়ায়, প্রেমে। প্রয়াত স্ত্রী শেফালি জরিওয়ালাকে আজও আঁকড়ে রয়েছেন পরাগ ত্যাগী। বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে নিজের মতো করে ফিরিয়ে আনলেন ভালবাসার মানুষকে।
সম্প্রতি নেটমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন পরাগ। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্ত্রী শেফালির হাসিমুখের একটি ছবি নিজের বুকে উল্কি করিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, 'বন্ধুরা, অবশেষে অপেক্ষার অবসান। আমাদের ১৫তম বিবাহবার্ষিকীতে পরীকে এটাই আমার উপহার। ও সব সময়ে আমার হৃদয়ে এবং আমার শরীরের প্রতিটি কোষে থেকে যাবে। এবার সেটা সকলেই দেখতে পাবেন।' স্ত্রীর প্রতি পরাগের ভালবাসায় মুগ্ধ নেটিজেনরা। তাঁর এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন সকলেই।
২৮ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান শেফালি। মাত্র ৪২-এই থেমে যায় তাঁর পথচলা। অনেকেই মনে করেন, বয়স ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন চিকিৎসার ফলেই অকারণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয় তাঁকে। স্ত্রীকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যে কখনওই কর্ণপাত করেননি পরাগ। তাঁর সঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলিই তাঁর বেঁচে থাকার রসদ।
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" data-instgrm-version="14">
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">
View this post on Instagram
?utm_source=ig_embed&utm_campaign=loading" target="_blank" rel="noopener">A post shared by Pari aur Simba ke Papa (@paragtyagi)
টেলিভিশন কিংবা সিনেমা নয়, শুধুমাত্র একটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করে রাতারাতি সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন ১৯ বছরের তরুণী। নয়ের দশকে তাঁর লাস্যময়ী অভিব্যক্তিতে ঘায়েল হয়েছিলেন অনেকেই। সেই ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালি জারিওয়ালার জীবন মাত্র ৪২ বছর বয়সে থমকে গেল। শুক্রবার মধ্যরাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর।
সলমন খান এবং অক্ষয় কুমারের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে প্রথম ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শেফালি। কিন্তু তারপর বলিউডে তাঁকে নিয়মিত কাজ করতে দেখা যায়নি। হাতে গোনা কয়েকটি ছবিতে কাজ ছাড়া ২০১৯ সালে বিগ বস ১৩-এ অংশ নিয়েছিলেন তিনি। শোনা যায়, কেরিয়ার মধ্যগগনে থাকাকালীন মাঝে মাঝেই তিনি উধাও হয়ে যেতেন।
মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন শেফালি। মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকে সেই কঠিন অসুখের সঙ্গে গোপনে চলছিল তাঁর লড়াই। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, রোগের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হত তাঁর পরীক্ষার সময় প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে থাকতেন। সেই থেকেই খিঁচুনি শুরু হয়। ভুগতেন অবসাদেও। আবার সেই অবসাদের কারণে বেড়ে যেত খিঁচুনি। কারণ একটার সঙ্গে আরেকটা গভীরভাবে জড়িত। এই জটিল রোগের কবলে ক্লাসরুমে, ব্যাকস্টেজে, রাস্তায় বা কোথাও হঠাৎ করে আত্মবিশ্বাসের অভাব অনুভব করতেন।
রোগের কারণেই ‘কাঁটা লাগা’র বিপুল সাফল্যের পরও বেশি কাজ করতে পারেননি শেফালি। কাজের মাঝে হঠাৎ খিঁচুনি হওয়ার ঝুঁকি থাকত। তাই নিজেকে আলোকবৃত্ত থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন।
মৃত্যুর দু’দিন আগেও করেছিলেন ফটোশুট। চিরাচরিত ছন্দেই কাটছিল দিন। হঠাৎই স্তব্ধ হয় জীবন। তবু রয়ে গেলেন শেফালি। তাঁকে শরীরে-মনে-যাপনে বয়ে নিয়ে যাবেন পরাগ।