২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রেক্ষাগৃহে অভিনব কাশ্যপের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘দবং’। ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন সলমন। খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল সোনুকে। সলমন খানের বিপরীতে এই ছবির মাধ্যমেই অভিনয়ের সফর শুরু করেছিলেন সোনাক্ষী সিনহা। এবার সলমন খানকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন চলচ্চিত্র পরিচালক অভিনব কাশ্যপ!

সলমন অভিনীত ২০১০ সালের ব্লকবাস্টার ‘দবং’-এর পরিচালক অভিনব, ছবির সাফল্যের পর খান পরিবারের সঙ্গে বড়সড় দ্বন্দ্বে জড়ান। সেসময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ‘দবং ২’ পরিচালনা করতে অস্বীকার করায় সলমন এবং তাঁর পরিবার তাঁর কেরিয়ার ইচ্ছে করে ধ্বংস করে দিয়েছে। এবার দবং-এর ১৫ বছরের পূর্তির আগে, এক সাক্ষাৎকারে সলমনের আচরণ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন এই পরিচালক।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনব বলেন, “সলমন খান মোটেও অভিনেতা নন! সলমন কোনও দিনই সিরিয়াস অভিনয়ে আগ্রহী ছিলেন না। গত ২৫ বছর ধরে অভিনয়ে তাঁর কোনও আগ্রহ নেই। তিনি শুধুমাত্র সেটে আসেন একটা উপকার করার মতো করে। আসলে সলমন শুধুই তারকা-শক্তি আর জনপ্রিয়তার খেলায় মাতেন, অভিনয়ের প্রতি কোনও টান নেই ওঁর। উনি একেবারেই গুণ্ডা।” পরিচালকের সোজাসাপটা দাবি — “সলমন একেবারে অসভ্য, খারাপ একটা মানুষ। দবং ছবিতে কাজ করার আগে ওঁর এসব ব্যাপার আমার জানা ছিল না।”

এখানেই থামেননি অভিনব। তাঁর বক্তব্য, গোটা খান পরিবার নাকি ইন্ডাস্ট্রি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তাঁর দাবি, “বলিউডে ‘স্টার সিস্টেম’-এর জনক সলমন-ই। তাঁর পরিবার ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে। তাঁরা প্রতিশোধপরায়ণ মানুষ। নিয়ন্ত্রণ করতে চান পুরো প্রক্রিয়াটা। আপনি যদি তাঁদের সঙ্গে একমত না হন, তবে আপনাকে ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লাগে।”

ভাই তথা জনপ্রিয় পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপকেও টেনে আনলেন অভিনব তাঁর এই আলোচনায়। অভিনব কাশ্যপ আরও জানান, তাঁর ভাই অনুরাগ কাশ্যপও একই রকম প্রতিশোধমূলক আচরণের শিকার হন। সলমন অভিনীত 'তেরে নাম' (২০০৩) ছবির সময় প্রযোজক বনি কাপুরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাধায় অনুরাগের কেরিয়ারেও বড়সড় ধাক্কা আসে।
প্রসঙ্গত, ‘দবাং’-এর আরও দু’টি সিক্যুয়েল পরে মুক্তি পায়। সেই ছবিগুলিতেও ‘চুলবুল পাণ্ডে’ সলমনের বিপরীতে দেখা যায় সোনাক্ষীকেই। তবে ২০১৯-এ ‘দবং৩’ ভাল ব্যবসা করতে পারেনি। এই ছবির পরিচালনায় ছিলেন প্রভু দেবা। আশাহত হয়েছিলেন সলমনের ভক্তরাও। রোহিত শেট্টির কপ-ইউনিভার্সের 'সিংহম এগেইন' ছবিতে অতিথি শিল্পী হিসেবে দেখা গিয়েছিল 'চুলবুল'কে। খবর, ভবিষ্যতেও যাবে। সব মিলিয়ে আগামিদিনে দবাং ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী সলমন।
