সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বলিউডের ‘পারফেকশনিস্ট’ তকমাটা তিনি কেমন করে অর্জন করেছেন, তা এবার নিজেই বুঝিয়ে দিলেন আমির খান। পর্দায় চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম হতে কতটা গভীরে ডুব দিতে পারেন তিনি—সেটাই প্রমাণ করলেন এক বিস্ময়কর স্বীকারোক্তিতে। সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমির ফাঁস করলেন, ‘রাখ’ (১৯৮৯) ও ‘ঘুলাম’ (১৯৯৮)-এর শুটিংয়ের সময় তিনি টানা ১২ দিন স্নান করেননি। শুধু একবার নয়, দু-দু'বার!
‘রাখ’-এর প্রসঙ্গে আমির বলেন, “আমার চরিত্রটা ছিল এমন একজন, যে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় এসে পড়েছে। রাস্তায় থাকা একজনের যা অবস্থা হয়, আমি সেটাই চেয়েছিলাম ফুটিয়ে তুলতে। তাই শুটিংয়ের সময়ে ইচ্ছে করে স্নান বন্ধ করে দিয়েছিলাম।” অপরিছন্ন চেহারাই তখন ছিল তাঁর লক্ষ্য। বাস্তবতাকে ক্যামেরার সামনে টেনে আনতেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিনেতা!
‘গুলাম’-এর ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যেও ছিল চরম অ্যাকশন ও আহত অবস্থার টানা ধারাবাহিকতা। আমিরের কথায়, “ছবির এই অংশে আমার চরিত্রটা মার খেতে খেতে একেবারে থেঁতলে যায়। প্রতিদিন স্নান করলে সেই দৃশ্যের কন্টিনিউটি থাকত না। কারণ, স্নানের পর যেকোনও ব্যক্তিকে দেখতে একটু তরতাজা লাগে, সেই ফ্রেশ ব্যাপারটা আমি চাইনি। অগত্যা...” তাই সাত দিন পর্যন্ত তিনি স্নান না করেই শুটিং চালিয়ে যান আমির!
অদ্ভুত শোনালেও, এটাই আমিরের অভিনয় দর্শন। বলিউডে ‘মেথড অ্যাক্টিং’-এর মুকুটধারীদের একজন আমির খান। বহু অভিনেতাই চরিত্রে ঢোকার চেষ্টা করেন, কিন্তু এইভাবে শারীরিকভাবে নিজেকে বদলে ফেলা, চরিত্রের মতো ‘গন্ধ’ পাওয়া পর্যন্ত চেষ্টা করা—তা নিঃসন্দেহে বিরল!
এইমুহূর্তে আমির খান এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁর নতুন সিনেমা ‘সিতারে জমিন পার’-এর জন্য, যা তাঁর ২০০৭ সালের কালজয়ী ছবি ‘তারে জমিন পার’-এর সিক্যুয়েল। ছবিটি পরিচালনা করছেন আর এস প্রসন্ন। সঙ্গে থাকছেন জেনেলিয়া ডিসুজাও। ছবিটি মুক্তি পাবে ২০ জুন ২০২৫-এ।
