আকাশ আটের ধারাবাহিক 'খনার কাহিনি'তে আসছে বিরাট চমক। এক ধাক্কায় গল্প এগিয়ে যাচ্ছে বেশকিছু বছর। আসছে নতুন মুখও। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত লিপের পর এই পরিবর্তন কাহিনিতে নিয়ে এসেছে এক নতুন, উত্তেজনাপূর্ণ অধ্যায়। পরিচালক মিলন মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে এই ধারাবাহিকটি প্রাচীন বাংলার দেউলি রাজ্যের পটভূমিতে এবং দূরদর্শী রাজপরিবারের উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে দর্শকদের মন জয় করে চলেছে।

 


গল্পের এই নতুন পর্যায়কে আরও সমৃদ্ধ করতে আসছে নতুন মুখেরা। এবার বড় খনার চরিত্রে দেখা যাবে ঈশিকা রাউত। মিহিরের বড়বেলার চরিত্রে দেখা যাবে সোহম বসু রায়চৌধুরীকে। যদিও সোহমকে দর্শক এর আগেও বিভিন্ন চরিত্রে বিভিন্ন মেগায় দেখা গিয়েছিল। তবে বেশ কিছু বছর ধরে পর্দায় দেখা যায়নি সোহমকে। 'খনার কাহিনি'তে এবার মিহিরের চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতাকে। 

 

'খনার কাহিনি'-র মূলে রয়েছে রানী কলাবতী-কন্যা খনার অসাধারণ গল্প। তিনি ছিলেন তাঁর সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকা এক অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন নারী। তাঁর মেধা বরাহদেব-এর মতো অভিজ্ঞ পুরুষ পণ্ডিতদের কর্তৃত্বকে প্রশ্ন করে, যদিও বরাহদেবের পুত্র মিহির নিজেও একজন দক্ষ চিন্তাবিদ হিসাবে বড় হয়ে ওঠেন। কাহিনিতে খনা এবং মিহিরের মধ্যে গড়ে ওঠা এক গভীর বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমে রূপান্তরিত হয়। পাশাপাশি, খনার সহজাত প্রতিভা এবং বরাহদেবের সম্মানিত প্রজ্ঞার মধ্যেকার চিরায়ত মেধার লড়াইও এই সিরিজের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।

 

 

আকাশ আট-এর ডিরেক্টর প্রিয়াঙ্কা বরদিয়ার কথায়, “খনার কাহিনি-র লিপ একটি টার্নিং পয়েন্ট। আমাদের লক্ষ্য সবসময়ই ছিল বাংলার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্যকে সততা ও সিনেম্যাটিক গভীরতার সাথে তুলে ধরা। নতুন শিল্পীরা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে প্রবেশ করার ফলে গল্পটি আরও বেশি স্তরযুক্ত এবং আবেগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে দর্শকরা গল্পের উন্নত বুনন এবং অভিনেতাদের এই চরিত্রগুলিকে জীবন্ত করার প্রতি তাঁদের ডেডিকেশনকে সাধুবাদ জানাবেন।” 

 

 

অভিনেত্রী ঈশিকা রাউত বলেন, “খনার চরিত্রে অভিনয় করা আমার কাছে একই সাথে সম্মান এবং দায়িত্বের। তিনি অসাধারণ বুদ্ধি এবং গভীর আবেগসম্পন্ন এক চরিত্র। গল্পের এই নতুন পর্বে তাঁর শক্তি, সৌন্দর্য এবং ভিতরের দ্বন্দ্বগুলিকে তুলে ধরার জন্য আমি সত্যিই উৎসাহিত। আশা করি দর্শকরা তাঁর এই যাত্রার সাথে ততটাই সংযোগ অনুভব করবেন যতটা আমি করি।” 

 


অভিনেতা সোহম বসু রায়চৌধুরীর কথায়, “মিহিরের এই পরিণত চরিত্রে অভিনয় আমাকে তাঁর বেড়ে ওঠা, তাঁর স্মৃতি এবং খনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সূক্ষ্ম পরিবর্তনগুলি অন্বেষণ করার সুযোগ করে দিয়েছে। নালন্দায় বছরের পর বছর কঠোর শিক্ষার পর মিহিরের দেউলিতে ফিরে আসাটা এক আবেগপূর্ণ মুহূর্ত। এই শক্তিশালী পুনর্মিলনের অভিজ্ঞতায় দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য আমি অপেক্ষা করছি।”