সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ২৩ ডিসেম্বর সোমবার, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন পরিচালক, লেখক শ্যাম বেনেগাল। মুম্বই সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর পরিবার জানিয়েছেন মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে ৬:৩০ নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ৯০ বছর বয়সে পদার্পণ করেও তিনি নিজের কাজ নিয়ে এখনও ব্যস্ত ছিলেন। হাতে ছিল বেশ কয়েকটি কাজ। কিন্তু তার মাঝেই না ফেরার দেশে শ্যাম বেনেগাল।
অভিনেত্রী শাবানা আজমী যিনি শ্যাম বেনেগালকে 'গুরু' হিসাবে মেনেছিলেন, ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জানিয়েছেন প্রয়াত পরিচালকের শেষকৃত্যের স্থান ও সময়। মুম্বইয়ের শিবাজী পার্ক শশ্মানে প্রয়াত পরিচালকের দেহ নিয়ে আসা হয়েছে এবং শেষকৃত্যের আচার অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। প্রয়াত পরিচালককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছেন অস্কারজয়ী গীতিকার গুলজার। হাজির হয়েছেন বর্ষীয়ান বলি-অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ।
সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিসের জন্য ঘন ঘন হাসপাতালে যাওয়া সহ বয়সজনিত অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও, শ্যাম বেনেগাল শেষ অবধি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি তার আবেগের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। তার সমগ্র কর্মজীবনে, শ্যাম বেনেগাল পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং চলচ্চিত্রে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার সহ অসংখ্য প্রশংসা পেয়েছেন।
পুরস্কারের ঝুলিও তাঁর সব সময় ভরাই থেকেছে শ্যাম বেনেগালের। তিনি জাতীয় পুরস্কার তো পেয়েছেনই, পেয়েছেন পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১২ সালে তাঁকে ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি ২০১৬ সালে আইটিএম ইউনিভার্সিটি গোয়ালিয়র থেকেও পেয়েছিলেন ডিলিট উপাধি। সব মিলিয়ে দীর্ঘ কর্মজীবনের নানা পর্যায়ে তিনি ছুঁয়েছেন শিল্পের বিভিন্ন পর্যায়গুলিকে।
ভারতকে অন্য চোখে দেখা, স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের নতুন করে গড়ে ওঠা, তার ওঠাপড়া, এবং প্রান্তীয় মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে সম্পর্কের জটিলতা, সবই উঠে এসেছিল তাঁর ছবিতে। অনুবীক্ষণ যন্ত্রের তলায় দেশের মানুষ, সমাজ ও সময়কে দেখার ও দেখানোর মানুষ শ্যাম, জন্মদিন পালনের ঠিক ন'দিনের মাথায় প্রয়াত হয়েছেন শ্যাম।
