সংবাদ সংস্থা মুম্বই: সাতের দশকে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ছিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে, বহুদিনের পুরোনো এক তিক্ত সম্পর্কের স্মৃতি রোমন্থন করলেন তিনি— আর তাতে উঠে এল রেখা ও বিনোদ মেহরাকে ঘিরে বিস্ফোরক তথ্য!
মৌসুমীর কথায়, “রেখার সবসময় মনে হত আমি বুঝি ওর স্বামী বিনোদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করি। কারণ ওর বাড়িতে ও (রেখা) থাকত ঠিকই, কিন্তু বিনোদের মা আমাকে বলত, ‘ইন্দু, ওর আলমারি থেকে খামটা বার কর তো।’ আমি তখন বলতাম, ‘ও তো ওখানেই বসে আছে, ওকেই বলুন।’ কিন্তু উনি বলতেন, ‘আমি পরোয়া করি না।’ আমি যেন মাঝখানে আটকে গিয়েছিলাম। রেখার মনে হত, বিনোদ আমার কথাই বেশি শোনে, তাই আমার ওপর একটা হিংসে কাজ করত।”
মৌসুমী জানান, রেখা বহুবার তাঁকে দেখে দেখে মুখ বেঁকিয়েছেন।এই বিষয়ে একবার সরাসরি মুখোমুখি হয়ে প্রশ্ন করলে রেখা নাকি বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। তবে এখন রেখা আদৌ ব্যাপারটা মনে রেখেছেন কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান মৌসুমী।
আরও এক ঘটনার কথা জানালেন ‘প্রেম বন্ধন’ ছবির শুটিং থেকে। পরিচালক রামানন্দ সাগর নাকি চেয়েছিলেন, মৌসুমী যেন নিজের হিল জুতো খুলে ফেলেন, কারণ রেখা তখন খালি পায়ে। কিন্তু মৌসুমী সোজাসাপ্টা না করে দেন। স্পষ্ট বলেন, “আমি এক শিক্ষিত, সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। আমাকে কেন খালি পায়ে দাঁড়াতে হবে? বরং রেখাকে একটা টুল দাও!”
এই পর্যন্তই নয়! মৌসুমীর দাবি, রেখা একবার নাকি ‘দাসী’ ছবিতে মৌসুমীর চরিত্রটা হাইজ্যাক করতে চেয়েছিলেন। সঞ্জীব কুমারের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য রাজ খোসলার কাছে সোজাসুজি অনুরোধ করেন রেখা। পরিচালক নাকি একটু হাই ছিলেন সেদিন, হাসতে হাসতেই বলে দেন, “তাহলে তো পুরো গল্পটাই পাল্টাতে হবে! কোন দিক থেকে মৌসুমীকে দেখলেই বা রেখার মতো ‘তারা বাঈ’ মনে হবে?” উল্লেখ্য, মৌসুমী ও রেখা একাধিক ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন— যেমন ‘প্রেম বন্ধন’, ‘মাঙ্গ ভরো সাজনা’, ‘দিলদার’, ‘জ্যোতি বনে জোয়ালা’ ও ‘ভোলা ভোলা’।
সম্প্রতি মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গেছে বাংলা ছবি ‘আড়ি’-তে। এই ইমোশনাল অ্যাকশন ড্রামা-তে যশ দাশগুপ্ত ও নুসরত জাহান ছিলেন মুখ্যভূমিকায়। এক বিধবা মা ও তার পালিত ছেলের সম্পর্ক ও আত্মত্যাগের কাহিনিই মূল উপজীব্য এই ছবির।
