ঝলমলে গ্ল্যামারের আড়ালে বলিউডের একটা অন্ধকার দিক লুকিয়ে আছে, যেখানে সংগ্রাম, শোষণ আর লজ্জার গল্পের শেষ নেই। সেই বাস্তবতার কথাই এবার খুলে বললেন অভিনেত্রী মৌনী রায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে খোলামেলা আলাপে মৌনী জানালেন, কাস্টিং কাউচচের মুখোমুখি না হতে হলেও, ২১ বছর বয়সে তাঁকে অপমানজনক আচরণের শিকার হতে হয়েছিল।
মৌনীর কথায়, “কাস্টিং কাউচের মুখোমুখি হইনি, কিন্তু নোংরামোর শিকার হয়েছি।” অভিনেত্রী জানালেন, তিনি তখন সবে ২১-২২ বছর বয়সি। একদিন অডিশনের জন্য একটি অফিসে গিয়েছিলেন, যেখানে একাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় একটি দৃশ্যের বর্ণনা দেওয়া হচ্ছিল, যেখানে এক নায়িকা জলে পড়ে অচেতন হয়ে যান, আর নায়ক তাঁকে টেনে তুলে মুখে মুখ লাগিয়ে শ্বাস দেন।
এরপরই যা ঘটে, তা মৌনী আজও ভুলতে পারেন না। তাঁর কথায়, “ওই ব্যক্তি হঠাৎই আমার ঠোঁটের মধ্যে ওর ঠোঁট ঠেসে ধরে সেই দৃশ্য দেখাতে শুরু করে। এক সেকেন্ডের জন্য বুঝতেই পারিনি, আমার সঙ্গে কী হচ্ছে। আমি কাঁপতে শুরু করি, আর তারপর এক দৌড়ে নীচে নেমে যাই। আমাকে মানসিকভাবে এতটা আঘাত করেছিল ঘটনাটা যে বহুদিন পর্যন্ত অনুরণন থেকে গিয়েছিল, অস্বস্তি হত।”
যদিও মৌনী নাম প্রকাশ করেননি ওই ব্যক্তির, যে এমন কাণ্ড করেছিল তাঁর সঙ্গে। অভিনেত্রী জানাননি, ওই ব্যক্তি অভিনেতা, পরিচালক না কি কাস্টিং এজেন্ট ছিলেন। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা তাঁর মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।
ছোটপর্দায় ‘কিঁউ কি সাস ভি কভি বহু থি’ ধারাবাহিক দিয়ে কেরিয়ার শুরু করে মৌনী পরবর্তীকালে ‘নাগিন’, ‘দেবো কে দেব মহাদেব’-এর মতো জনপ্রিয় সব ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। ২০১৮ সালে অক্ষয় কুমারের বিপরীতে গোল্ড সিনেমায় বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। পরের দিকে রোমিও আকবর ওয়াল্টার, মেদ ইন চায়না এবং ‘ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান-শিবা’ তে তাঁর অভিনয় দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
এখন মৌনীকে দেখা যাবে পরিচালক ডেভিড ধাওয়ান–এর রোমান্টিক কমেডি ‘হ্যায় জওয়ানি তো ইশক হোনা হ্যায়’-তে, যে ছবিতে তাঁর সঙ্গে থাকছেন পূজা হেগড়ে এবং ম্রুণাল ঠাকুর। ২০২৬ সালে মুক্তি পাবে এই ছবি।
