রান্নার কোন মশলায় মিশে কোন স্বাদের গল্প? মায়ের হাতের রান্নায় লুকিয়ে কোন জাদু?  নিত্যনতুন স্বাদে ঠিক কেমন জমেছ 'রান্নাঘর'-এর হেঁসেল? জানতে আজকাল টেলিভিশন পৌঁছে গিয়েছিল ডিআরআর স্টুডিওয়, জি বাংলার রান্নাঘর-এর শুটিং ফ্লোরে।


১০০ পর্বে 'রান্নাঘর' 

চলছে ১০০ পর্বের সেলেব্রেশন। এদিনের 'রান্নাঘর'-এর অতিথি 'সারেগামাপা'-এর খুদে সদস্যরা। নিজের হাতে রেঁধে তাদের পরিবেশন করে খাওয়াবেন সঞ্চালিকা কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তোড়জোড় তুমুল। ১০০ পর্ব পেরিয়ে আজ কী মনে হচ্ছে? মুখে হাসি নিয়ে কনীনিকার জবাব, "শুরুটা খুব বিতর্কের মধ্যে দিয়ে হয়েছিল। তাই ভয় ছিল। কিন্তু দর্শকরা আমায় ভালবাসা দিয়েছেন, এটাই বড় সার্থকতা। আমি নামজাদা রাঁধুনি না হলেও রান্নাটা ভালবেসে করি। তাই প্রতিটা স্বাদ যাতে সবার মনে থেকে যায় সেই চেষ্টাই করি‌।" অভিজ্ঞতা কেমন? "রোজ যে নতুন রান্না শিখি বা দর্শককে নতুন স্বাদের খোঁজ দিই তাই নয়। প্রতিটি রান্নার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা গল্পগুলো জানতে পারি। কত অজানা কাহিনির সাক্ষী হই। এইগুলোই আমার বিরাট পাওয়া।" বললেন কনীনিকা।


নানা স্বাদের বাহার 

নিজের প্রথম রান্না কী ছিল? প্রশ্ন শুনে চনমনে হয়ে ওঠেন কনীনিকা। বলেন, "মায়ের খুব শরীর খারাপ ছিল, সিদ্ধ ভাত রান্না করেছিলাম। এখনও মনে আছে। স্কুল যাওয়ার আগে রান্না সেরে গিয়েছিলাম।" এত রান্না শিখছেন রোজ, বাড়িতে ট্রাই করেছেন? জোরে হেসে কনীনিকা বলেন, "রান্না এত শিখেছি যে গুনে শেষ‌ করতে পারব না। কিছু কিছু অবশ্যই বাড়িতে চেষ্টা করেছি। সাধারণত বাড়িতে ছেলে-মেয়ে যা খেতে বেশি ভালবাসে সেটাই করার চেষ্টা করি। মাটনের বিভিন্ন রেসিপি ওরা খুব পছন্দ করে। আবার ডাল-ভাত ও একটু সব্জি দিয়ে করে দিলে সেটাও সুন্দর খেয়ে নেয়।"

 

কথা বলতে বলতেই মেকআপ আর্টিস্ট এসে হাজির। এক্ষুনি নাকি শুরু হবে পরবর্তী দৃশ্যের শুটিং! ফ্লোরে ততক্ষণে গোছগাছ শুরু। চলছে মশলাপাতি সাজানোর কাজ। ফ্লোর ম্যানেজারের নির্দেশে চলছে হেঁসেলের ভোল বদলের কাজ। চেনা ছকে চললো নতুন রান্না, নতুন স্বাদ আর লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন।