তাঁদের রসায়নে লেগে আছে নস্টালজিয়ার সুবাস। যে সুবাস ফেরাতে পারে অতীত। ইউটিউব শর্টস, রিল, মোবাইলের টুংটাং, কানাঘুষো তখন ব্রাত্য। টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখে শুধু অপেক্ষা। আর ছবিমু্ক্তির সময় তড়িঘড়ি টিকিট কাটার ব্যস্ততা। দেব এবং শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের জুটির ম্যাজিক দেখার আগ্রহ ছিল এমনই।
আবার ফিরলেন তাঁরা। প্রায় এক দশক পর। সৌজন্যে ‘ধূমকেতু’। সেই ছবি মুক্তি পেয়ে ইতিমধ্যে নানা রেকর্ড ভেঙেছে। কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে ধ্রুব সত্য হয়ে থেকেছে নায়ক-নায়িকার সমীকরণ। যাতে ঘষা লাগেনি সময়ে। যা আজও অমলিন। সেই কথাই যেন আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন ছবির পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। দেব-শুভশ্রী যখন গল্পে মগ্ন, তখনই লেন্সবন্দি করলেন তাঁদের। পর্দার বাইরেও এক মিষ্টি মুহূর্ত খুঁজে নিল পরিচালকের চোখ। সেই ছবি ‘দেশু’ জুটির অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে আরও একবার উস্কে দিলেন স্মৃতি। প্রেমের, বিরহের, আবার খুনসুটিরও।
কী দেখা যাচ্ছে কৌশিকের পোস্ট করা ছবিতে?
পাশাপাশি বসে দেব-শুভশ্রী। ফোনে নায়ককে কিছু একটা দেখাচ্ছেন নায়িকা। চারপাশ ভুলে দু’জনেই বুঁদ চলভাসের স্ক্রিনে। দেবের পরনে লাল পাঞ্জাবি। রংমিলান্তি করে বেনারসিতে সেজে উঠেছেন শুভশ্রী। ছবির সাফল্য কামনা করে যে দিন তাঁরা নৈহাটির বড়মাকে পুজো দিতে গিয়েছিলেন, সে দিনেরই ছবি এটি। দু’জনের পোশাক দেখে সহজেই দু’য়ে দু’য়ে চার করে নেওয়া যায়।

কী নিয়ে হচ্ছিল কথা? কীসেই বা ডুবে ছিল ‘দেশু’ জুটি? কৌশিকও উৎসুক। তিনি লেখেন? ‘দুজনে কি দেখছিলো এত মন দিয়ে? বুক মাইশোতে লেগে যাওয়া আগুন? নাকি ফ্যান ভিডিও? নাকি অনুরাগীদের কমেন্ট? নাকি নৈনিতালের শুটিংয়ের পুরোনো ছবি? ওরাই জানে শুধু!’ (পোস্টের বানান অপরিবর্তিত)
প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চেয়েছেন অনুরাগীরাও। একজন লেখেন, ‘দেখছে আপনি কীভাবে ওদের জীবনে ধূমকেতু এনে ফেলে দিলেন, সফল জুটিকে আবার বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরিয়ে আনার জন্য অভিনন্দন আপনাকে।’ আবার জনৈক অনুরাগীর মন্তব্য, ‘আপনি তো আমাদের প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন।’
২০০৯ সালে ‘চ্যালেঞ্জ’ দিয়ে শুরু হয়েছিল দেব-শুভশ্রী জুটির যাত্রা।। এরপর একসঙ্গে ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘রোমিও’, ‘খোকাবাবু’, ‘খোকা ৪২০’-এর মতো সুপারহিট সব ছবি। আজও মনে করা হয়, নায়ক-নায়িকার রসায়নের সুবাদেই বক্স অফিসে উপচে পড়ত ছবির ভাঁড়ার। ২০১৫ সালে ‘ধূমকেতু’র মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠেনি। অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ন’বছর পর পর্দায় জাদুকাঠি ছুঁইয়ে দিলেন তাঁরা।
‘ধূমকেতু’র প্রচারেও কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি। প্রচারের সুবাদেই প্রায় এক দশক পর মুখোমুখি হন দেব-শুভশ্রী। পুরনো সংলাপ আওড়ানো থেকে হিট গানে নাচ, ফেলে আসা রসায়নের ম্যাজিকে উস্কে দেন নস্টালজিয়া। নায়ক-নায়িকাকে নিয়ে করা ‘মিষ্টি’ এই পোস্টটিও কি ছবির সাফল্যকে ধরে রাখার চেষ্টামাত্র? প্রশ্ন অনুরাগীদের।
