সংবাদ সংস্থা মুম্বই: সইফের শরীরে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় পড়েছে এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ। শরীরে ছিল ছ'টি ক্ষত, তার মধ্যে দুটি বেশ গভীর। পিঠে গেঁথে ছিল আড়াই ইঞ্চি ছুরি। ঘাড়েও গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। চিকিৎসকরা প্রথম দিনেই জানিয়েছিলেন, অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছেন বলি-তারকা না হলে ঘটতে পারত আরও বড় কিছু। ইতিমধ্যেই একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছে সইফের। এখন কেমন আছেন পতৌদির নবাব? জানালেন করিনার তুতো ভাই তথা শশী কাপুরের নাতি জাহান কাপুর। 

 

সম্প্রতি জাহানের কাজ দারুণ প্রশংসিত হয়েছে নেটফ্লিক্সের নয়া সিরিজ 'ব্ল্যাক ওয়ারেন্ট'-এ। সইফের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বললেন, “গোটা বিষয়টি আমাদের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। আমি এই বিষয়ে খোলাখুলি, জোর দিয়ে কিছু বলতে এইমুহূর্তে পারব না। কারণ ওর শারীরিক অবস্থার খুঁটিনাটি বিষয়েআমি জানি না। আমি নিশ্চিত আমাদের পরিবারের কেউই জানেন না।  তবে যেটা জানি তা হল সইফ আগের থেকে অনেক ভাল আছেন, সেরে উঠছেন তাড়াতাড়ি। উনি পুরোপুরি বিপদসীমার বাইরে এবং এটা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না যে তা আমাদের পরিবারের জন্য কতটা স্বস্তিদায়ক।” 

 

প্রসঙ্গত, সইফ-কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্তকে রবিবার-ই গ্রেপ্তার করেছিল মুম্বই পুলিশ। হামলার প্রায় ৭০ ঘণ্টার মাথায় মুম্বই পুলিশ তার নাগাল পায়। জানা গিয়েছে ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বাংলাদেশি। নাম, মোহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। মুম্বইয়ের থানে অঞ্চলের কাসারবাদালি থেকে শরিফুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, আটক হওয়ার পর থেকেই পুলিশের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছে সে। শেষপর্যন্ত সে নাকি কবুল করেছে অপরাধ। সূত্রের খবর, এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের কাছে অভিযুক্ত বলেছে, “হ্যাঁ, আমি-ই করেছি।” 

 

গত বুধবার গভীর রাতে নিজের বাড়িতেই হামলা হয় নবাব পুত্র সইফ আলি খানের উপর। শরীরে ছ'টি ক্ষত, তারমধ্যে দু'টি বেশ গভীর। চিকিৎসকরা প্রথম দিনেই জানিয়েছিলেন, অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছেন, না হলে ঘটতে পারত আরও বড় কিছু। লীলাবতী হাসপাতালে ওই রাত থেকেই চিকিৎসারত সইফ। তাঁকে ইতিমধ্যেই আইসিইউ থেকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন এবং স্বাভাবিক ভাবে খাওয়াদাওয়া শুরু করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে।