সংবাদ সংস্থা মুম্বই: হিন্দি ভাষা প্রসঙ্গে বিতর্কে জড়ালেও নিজের অবস্থান নিয়ে বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই কমল হাসনের। নিজের নতুন ছবি ঠগ লাইফ এর প্রচারে এসে দক্ষিণে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে স্পষ্ট মত প্রকাশ করলেন তিনি। কমলের মতে — হিন্দি চাপিয়ে দিলে হবে না, বরং মানুষ নিজেরাই শিখে নেবে। ৭০ বছর বয়সী জনপ্রিয় এই অভিনেতা স্পষ্টভাবে বলেন, “আমি এক দুজে কে লিয়ে ছবির সেই তামিল অভিনেতা... ভাষা ভালবাসার রাস্তায় বাধা নয়, আবার চাপিয়ে দেওয়াও নয়।”

 

কমল হাসন বলেন, “চাপিয়ে দিলে মানুষ শিখতে চায় না। এটা শিক্ষা, এবং শিক্ষার পথ সহজ হওয়া উচিত, বাধা নয়। যদি ভাষা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পথে দরকার হয়, ইংরেজিই যথেষ্ট।” তিনি স্পষ্ট করে জানান, ইংরেজি, স্প্যানিশ বা চিনা — আন্তর্জাতিক সুযোগ পেতে চাইলে এই ভাষাগুলি যথাযথ। তবে হঠাৎ করে হিন্দি চাপিয়ে দিলে, বিশেষ করে তামিলনাড়ুর মতো জায়গায়, বহু মানুষ কার্যত ‘নতুন করে নিরক্ষর’ হয়ে যাবেন। “আমি পাঞ্জাবের পাশে, কর্ণাটকের পাশে, অন্ধ্রর পাশে আছি — ভাষা চাপিয়ে দেওয়া মানেই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা,” বলেও জানান তিনি।

 


উল্লেখ্য, ঠগ লাইফ, কমল হাসানের ২৩৪তম ছবি, যা তিনি বানিয়েছেন মণি রত্নমের সঙ্গে ৩৭ বছর পর — ছবিটি কর্ণাটকে মুক্তি পায়নি তাঁর এক মন্তব্যকে ঘিরে। চেন্নাইয়ে এক অনুষ্ঠানে কমল বলেছিলেন, “কন্নড় ভাষা তামিল থেকে এসেছে”, যা কর্ণাটকে প্রবল ক্ষোভ তৈরি করে।
কর্নাটক ফিল্ম চেম্বার জানিয়ে দেয়, হাসন ক্ষমা না চাইলে ছবি মুক্তি হবে না। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে প্রযোজনা সংস্থা কর্ণাটক হাইকোর্টে নিরাপত্তার জন্য আবেদন করে।

 

শেষ পর্যন্ত, আদালতের তিরস্কারের পর, প্রযোজকরা জানান— ‘ঠগ লাইফ’ কর্ণাটকে মুক্তি পাবে না।

 

এখনও পর্যন্ত ‘ঠগ লাইফ’ বক্স অফিস রিপোর্ট, চাপা ক্ষোভ, বিতর্ক ও সমালোচনার জেরে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ছবিটি। প্রথম তিন দিনে ভারতীয় বক্স অফিসে আয় মাত্র ৩০ কোটি টাকা।