সংবাদ সংস্থা মুম্বই: প্রেম দিবসে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছাদনাতলায় বসলেন বলি-অভিনেতা প্রতীক বব্বর। তবে এই বিশেষ দিনে নিজের পরিবারকে কোনও আমন্ত্রণ জানাননি তিনি। বাবা রাজ বব্বর এবং সৎ ভাই ও সৎ দিদি আর্য, জুহি বব্বরকে যে আমন্ত্রণ জানাননি প্রতীক, সেই খবরে আগেই সিলমোহর দিয়েছিলেন খোদ আর্য। জানিয়েছিলে, গত ৬ মাস যাবৎ বব্বর পরিবারের মধ্যে সমস্যা চলছে এবং প্রতীক কেন এই বিয়ের অনুষ্ঠানে থেকে তাঁর পরিবারকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন তার কারণ তিনি জানেন না। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন প্রতীকের সৎ দিদি জুহি বব্বর।
জুহি যে অভিমান করেছেন, তা তাঁর কথা থেকেই স্পষ্ট । তবে তাঁর সন্দেহ, প্রতীকের এই কাজের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারও অভিসন্ধি! জুহির কথায়, “এইমুহূর্তে প্রতীকের আশপাশে এমন একজন রয়েছেন, যাঁরা ওকে নাচাচ্ছেন। সেই ব্যক্তির নাম আমরা সমক্ষে আনতে চাই না। কারণ এই গোটা বিষয়ের মাঝে পড়ে প্রতীকের উপর চাপ সৃষ্টি হোক, এমনটা আমরা কখনওই চাই না। কারণ, তাতে কোনও লাভ হবে না কারও। আর একটা কথা স্পষ্ট করে দেওয়া ভাল, আমরা কিন্তু কোনওভাবেই সেই ব্যক্তির মধ্যে প্রিয়ার কথা বলছি না। প্রিয়া খুব ভাল মেয়ে। প্রতীক খুব সৌভাগ্যবান যে প্রিয়ার মতো একজন জীবনসঙ্গিনী সে পেয়েছে যে তাকে বোঝে এবং ভীষণ ভালবাসে। এই গোটা বিষয়টা হল অন্য একজনের জন্য যে এটা থেকে নিজের গুরুত্ব বাড়াতে চাইছে। সঙ্গে চাইছে প্রচার।”
কথাশেষে জুহি আরও জানান, তবে যাই-ই হয়ে যাক না কেন, প্রতীক তাঁর আদরের ভাই এবং সেটাই তিনি থাকবেন। অন্যদিকে, মা আলাদা হলেও তাঁদের দু'জনের বাবা যে এক, সেই সত্যিটাও বদলানো যাবে না। এখনও পর্যন্ত পাল্টা কোনও মন্তব্য অথবা বিবৃতি ভেসে আসেনি প্রতীকের তরফে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সানিয়া সাগরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন প্রতীক। তবে ২০২০ সালের শুরুর দিকে সানিয়া ও প্রতীকের দাম্পত্যে চিড় ধরে। তার পর বিচ্ছেদ। তার কিছু সময় পর প্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করছে প্রতীক-প্রিয়ার বিয়ের ছবি। বিয়েতে বিখ্যাত পোশাকশিল্পী তরুণ তেহলানির ডিজাইনার শেরওয়ানি পরেছিলেন তিনি। অন্যদিকে, সোনালী রঙের লেহেঙ্গায় মোহময়ী রূপে ছবিতে ধরা দিয়েছেন প্রিয়া। এক সাক্ষাৎকারে প্রতীক বলেছেন, “বরাবরই চেয়েছিলাম এই বিয়ে ঘরোয়া হোক। আমার মা যে বাড়ি কিনেছিলেন এবং বর্তমানে যেটা তাঁর ঘর, সেই চত্বরেই এই বিয়ে সারতে চেয়েছিলাম। এইভাবেই মা-কে সম্মান জানাতে চেয়েছিলাম।”
