এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ এবং তাকে ঘিরে অভিনেতা জিতু কামালের সিদ্ধান্ত। এই ধারাবাহিকের সঙ্গে জিতু আর যুক্ত থাকবেন কি না তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কিছু জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, এই ধারাবাহিকের সঙ্গে আর যুক্ত নেই জিতু। তার অন্যতম কারণ নায়িকা দিতিপ্রিয়া রায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য। সরাসরি কিছু না বললেও এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের দিন রাতে কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে জিতু একটি ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করেন। যার সারমর্ম, মৃত্যুর চেয়েও বদনাম ভয়ঙ্কর’।

দিতিপ্রিয়া প্রথমে জিতুর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনেন সামাজিক মাধ্যমে। জিতুও তাদের  কথোপকথনের চ্যাট প্রকাশ্যে এনে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেন। এরপর অবশ্য নিজেরা সব ঝামেলা মিটিয়ে আবার শুটিং শুরু করেন। এরপর কিছু সময়ের ব্যবধানে দিতিপ্রিয়া এবং জিতু দু’জনেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তখন সামাজিক মাধ্যমে একে অপরের সুস্থ হয়ে ওঠার শুভকামনাও করেন।  তবে জিতু শুটিংয়ে ফেরার পর থেকেই নাকি শুরু হয় নতুন সমস্যা। সামাজিক মাধ্যমে জিতু জানান, তাঁর নায়িকা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নায়কের সঙ্গে কোনও রোমান্টিক দৃশ্য করতে নারাজ। এবং এই কথাকে নাকি সমর্থন করেছেন অনেকেই। এমনকি জিতু চাইলে ধারাবাহিক ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন, এমন কথাও নাকি বলা হয়েছে। যার জন্য অত্যন্ত অপমানিত বোধ করেন অভিনেতা, তাই শুটিং ছেড়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই জানান সামাজিক মাধ্যমে। শোনা গিয়েছে এরপর এসভিএফ সংস্থার বৈঠকে নায়ক-নায়িকা দু’জন বসলেও মিটিং এর মাঝপথে থেকেই বেরিয়ে আসেন জিতু। তাতে প্রযোজনা সংস্থাও বিরক্ত হয় এবং জিতু নাকি সেই সময়ে ধারাবাহিক ছেড়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেন। যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি কেউ। তবে জিতু বারবার বলেছেন অকারণে তিনি বদনামের ভাগীদার হবেন না।

এমন পরিস্থিতিতে বুধবার আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে জিতুর একটি পোস্ট সেই বার্তাকেই উস্কে দিল। জিতুর পোস্টে লেখা, ‘কান্না পেলে সে-ও কাঁদে, ব্যথায় তার কষ্ট হয়, সমাজ যতই বুঝুক না ভুল পুরুষ মানেই নষ্ট নয়’। এই পোস্ট করে জিতু লিখেছেন ‘হ্যাপি হিউম্যানস ডে’। পুরুষ দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে ‘ম্যান’ নয়,  ‘হিউম্যান’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন জিতু। অর্থাৎ তিনি যেন নারী-পুরুষের বিভেদ ভুলে শুধু মানুষ হয়ে ওঠার বার্তা দিলেন।

দিতিপ্রিয়ার বিরুদ্ধে জিতু কিছু না বললেও তাঁদের কথোপকথন সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করার পর অনেকেই নায়কের পক্ষে কথা বলেছেন। অনুরাগীদের একাংশ আবার দাঁড়িয়েছেন নায়িকার পাশে। তবে দু’জনের মধ্যে সবকিছু মিটে যাওয়ার পরও আবার নতুন করে কেন সমস্যা সৃষ্টি হল, তা বুঝতে পারছেন না অনুরাগীরা।

টলিউডের একাংশ মনে করছে, এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতি হল এই ধারাবাহিকের। বেঙ্গল টপার হওয়ার পাশাপাশি টিআরপি তালিকাতে প্রত্যেক সপ্তাহে ভাল জায়গা করে নেয় ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’। তবে এই বিতর্কের পর সামাজিক মাধ্যমে দিতিপ্রিয়াক নানা কটাক্ষের শিকার। এমনকি তাঁকে বয়কট করার ডাক দিয়েছেন জিতুর অনুরাগীরা।  কেউ কেউ বলছেন জিতুর জায়গায় এই ধারাবাহিকে অন্য কাউকে দেখতে চান না তাঁরা। কী হতে চলেছে এই ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ? সেটাই এখন দেখার।