সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বলিউড ইতিহাসে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ মানেই অনিল কাপুর। কিন্তু জানেন কি, এই চরিত্রটা আসলে লেখা হয়েছিল অমিতাভ বচ্চনের জন্য?
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জাভেদ আখতার জানালেন, এই ছবির অনুপ্রেরণার পিছনে আছে অমিতাভেরই গলা! এক প্রযোজক—প্রমোদ চক্রবর্তী অমিতাভকে নিয়ে এক ছবি প্ল্যান করছিলেন, জা শেষমেশ আর বাস্তবায়িত হয়নি। ইউরোপে শ্যুটিংয়ের মাঝেই মূহূর্তের দৃশ্যের জন্য তাঁর গলা রেকর্ড করে ব্যবহার করা হয়। সেই মুহূর্তেই জাভেদের মাথায় এল এক দুর্দান্ত চিন্তা— কেমন হয় যদি এক অদৃশ্যমান নায়ক থাকে আমাদের আশেপাশে যার অস্তিত্ব শুধু গলায়! তখনই মাথায় এল—যার গলা এত জনপ্রিয়, সেই মানুষটিকে অদৃশ্যমান চরিত্রে ভাবা যায় না কেন?জাভেদের সংযোজন, “অমিতাভের গলার জাদু থেকেই মাথায় আসে মিস্টার ইন্ডিয়ার কনসেপ্ট। আর ওর বেশি শিডিউলও লাগবে না!”
কিন্তু এরপরেই আসে মোড় ঘোরানো এক অধ্যায়—সলিম-জাভেদ জুটি ভেঙে যায়। সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলে যায়। এ ছবির গল্প-চিত্রনাট্য জাভেদের হাতেই থেকে যায়। পরে বনি কাপুর সেই চিত্রনাট্য কিনে নেন এবং অনিল কাপুর ও শ্রীদেবীকে নিয়ে তৈরি করেন আইকনিক ছবি ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’। তৈরি হয় কাল্ট ক্লাসিক।
জাভেদ আরও জানান, সে সময় ইন্ডাস্ট্রিতে জোর গুঞ্জন ছিল—সেলিম-জাভেদ বিচ্ছেদের নেপথ্যে বিগ বি’র হাত আছে! এই জল্পনা থামাতেই তিনি এক দশক অমিতাভের সঙ্গে কাজ করেননি। অনেক পরে ১৯৮৯-এ ‘ম্যায় আজাদ হুঁ’-তে আবার তাঁদের দেখা হয়।
শেখর কাপুরের পরিচালনায়, এক সাধারণ সঙ্গীতশিল্পী যখন অদৃশ্য হয়ে ওঠেন সমাজরক্ষার নায়ক—‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ শুধু বিনোদন নয়, হয়ে ওঠে বলিউডের অন্যতম সুপারহিরো আইকন। আর ‘মোগ্যাম্বো খুশ হুয়া!’—এই সংলাপ হয়ে যায় ইতিহাস। শেখর কাপুর পরিচালিত ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’-য় অনিল কাপুর অভিনয় করেন অরুণ বর্মার চরিত্রে—এক জন দুঃস্থ সঙ্গীতশিল্পী ও সমাজসেবক, যে অদৃশ্য হয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। বিপরীতে ছিল মোগ্যাম্বোর চরিত্রে অমর ভিলেন অমরেশ পুরি। ছবিটি ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে কাল্ট ক্লাসিক, এবং এক সময় একটি সিক্যুয়েলের পরিকল্পনাও হয়, যদিও তা আর বাস্তবায়িত হয়নি।
