সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ২০১০ সালে বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল 'ইশকিয়া'। এই ছবির মাধ্যমেই প্রথমবার একসঙ্গে পর্দায় হাজির হয়েছিলেন বিদ্যা বালন, নাসিরুদ্দিন শাহ এবং আরশাদ ওয়ার্সি। বক্স অফিসের পাশাপাশি সমালোচকমহলেও দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল অভিষেক চৌবের এই ছবি। তারিফ কুড়িয়েছিল পর্দায় এই ত্রয়ীর রসায়ন-ও। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইশকিয়া র পরিচালক অভিষেক চৌবে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক পর্যায় 'ইশকিয়া'র জন্য কিন্তু এই তিন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে ভাবা হয়নি।
অভিষেক বললেন, “প্রথমে ‘খল্লুজান’ অর্থাৎ যে চরিত্রে নাসিরুদ্দিনকে দেখা গিয়েছিল তাতে পঙ্কজ ত্রিপাঠিকে ভেবেছিলাম আমরা। ইরফান খানের করার কথা ছিল ‘বব্বান’ চরিত্রটি, যাতে শেষমেশ দর্শক দেখেছিল আরশাদকে। অন্যদিকে, লারা দত্তের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা বললেও প্রীতি জিন্টাকে নায়িকা ‘কৃষ্ণা’র চরিত্রটিতে প্রায় পাকা করে ফেলা হয়েছিল। কারণ প্রীতি নিজেই এই ছবি নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন। চিত্রনাট্যের প্রথম খসড়া শুনেই একবাক্যে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। তো এরপর একটি কাজ পড়াতে বেশ খুশিমনেই আমেরিকায় চলে গিয়েছিলাম আমি। সেখানে যাওয়ার পর আচমকা জানতে পারি, ইশকিয়া ছবির কাজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন প্রীতি!
যাই হোক, আমেরিকার নিউ ইয়র্কে ইরফানের সঙ্গে দেখা করলাম। চিত্রনাট্যে কিছু বদল হয়েছিল। ইরফানের তা পছন্দ হয়নি। গাঁইগুঁই করছিলেন। তখনই বুঝেছিলাম ইরফান-ও সরে দাঁড়াবেন। আর তাই-ই হয়েছিল। শেষমেশ নাসির সাহেব এলেন মঞ্চে। আরশাদ, বিদ্যা সহ বাকিরাও এলেন তারপর। এইভাবেই শুরু হয়েছিল ‘ইশকিয়া’ ছবির শুটিং।
